৫০৫৬

পরিচ্ছেদঃ ১৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আত্মসংযম ও কাজে ধীরস্থিরতা

৫০৫৬-[৪] আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব অতিক্রম করেছে, সে ব্যতীত কেউ সহনশীল হয় না এবং যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, সে ব্যতীত কেউ বিচারক হয় না। [আহমাদ ও তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও গরীব।][1]

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا حَلِيمَ إِلَّا ذُو تَجْرُبَةٍ» رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب

ব্যাখ্যাঃ لَا حَلِيمَ إِلَّا ذُو تَجْرُبَةٍ পা পিছলে যাওয়া ব্যক্তি বা হোঁচট খাওয়া ব্যক্তি। অথবা যে ব্যক্তি লেখা-লেখিতে বার বার ভুল করে লজ্জিত হয়। বলা হয়ে থাকে : সে ব্যক্তি ব্যতীত কেউ পূর্ণ সহনশীল হতে পারে না যে, অপদস্ততায় পতিত হয়েছে অথবা যার ভুল হয়ে গেছে, অতঃপর তার ভুলকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। তারপর সে বুঝতে পেরেছে ক্ষমা কি জিনিস। সে তখন অন্যের ভুলের সময় সহনশীল হতে পারে। কারণ সে সেই সময় প্রতিষ্ঠিত ছিল। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৩৩)

وَلَا حَكِيمَ إِلَّا ذُو تَجْرِبَةٍ অর্থাৎ নিজের বা অন্যের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ বিচারক হতে পারে না।

মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ব্যাখ্যাকার বলেছেন, সকল বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ছাড়া ও সংশোধনমূলক জ্ঞান ও ধ্বংসাত্মক জ্ঞান অর্জন না করে কেউ পূর্ণ বিচারক হতে পারে না।

কারণ হলো জ্ঞান অর্জন না করে কেউ পূর্ণ বিচারক হতে পারে না, কারণ বিচারক কোন বিষয়ের হিকমাত ছাড়া কোন কাজ করতে পারেন না। আর হিকমাতই কোন বিষয় নষ্ট হওয়া থেকে সঠিকতায় পৌঁছে দেয়। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৩৩)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ