লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ
৪৯৬৯-[২৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ ও অনুকম্পা প্রদর্শনকারীদের প্রতি আল্লাহ রহমানুর রহীম অনুগ্রহ ও দয়া বর্ষণ করেন। সুতরাং তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করো, তাহলে আকাশের মালিক তোমাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন। (আবূ দাঊদ ও তিরমিযী)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الرَّاحِمُونَ يَرْحَمُهُمُ الرَّحْمَنُ ارْحَمُوا مَنْ فِي الْأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ
ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসে দয়াশীলতার যে কথা বলা হয়েছে তা জমিনের মানব, জীব জানোয়ারের প্রতি অনুগ্রহ করা ও বিপদাপদে সমবেদনা জানানোর কথাটি ব্যাপক রাখা হয়েছে যাতে করে জমিনের সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। এর ভিতরে ভালো, মন্দ, কথা বলতে পারে এমন, পক্ষীকুল, কীটপতঙ্গ সবাই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ) যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের দয়া করবেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলা। কেউ কেউ বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলেন আসমানে বসবাসকারী মালায়িকাহ্ (ফেরেশতামণ্ডলী), কেননা তারা মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যেমন, মহান আল্লাহ বলেনঃ
الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَه يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُونَ بِه# وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
অর্থাৎ যারা ‘আরশ বহন করে এবং তাদের আশেপাশে যারা আছে তারা তাদের রবের প্রশংসা তাসবীহ পাঠ করে এবং তার প্রতি ঈমান এনেছে এবং মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, হে আমাদের রব্! তুমি সব জিনিসকে দয়া ও ‘ইলমের মাধ্যমে বেষ্টন করে আছ। সুতরাং তুমি তাওবাহকারী ও তোমার পথ অনুসারীদের ক্ষমা কর এবং তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর। (সূরাহ্ আল মু’মিন/গাফির ৪০ : ৭)
সিরাজুল মুনীর গ্রন্থে এসেছে, اهل السماء তথা আসমানবাসী। এ শব্দ দ্বারা মালায়িকাহ্ উদ্দেশ্য।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯২৪)