৪৯৪২

পরিচ্ছেদঃ ১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার

৪৯৪২-[৩২] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন বান্দার মাতা-পিতা অথবা তাদের যে কোন একজন মৃত্যুবরণ করে এমন অবস্থায় যে, সে তাঁদের অবাধ্য। অতঃপর তাঁদের মৃত্যুর পর সে অবাধ্য পুত্র তাঁদের জন্য দু’আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে, তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে পুণ্যবানদের সাথে লিপিবদ্ধ করেন।[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْعَبْدَ لَيَمُوتُ وَالِدَاهُ أَوْ أَحَدُهُمَا وَإِنَّهُ لَهُمَا لَعَاقٌّ فَلَا يَزَالُ يَدْعُو لَهُمَا وَيَسْتَغْفِرُ لَهُمَا حَتَّى يَكْتُبَهُ اللَّهُ بارا»

ব্যাখ্যাঃ পিতা-মাতার অবাধ্যচারী বড় ধরনের পাপী। মানুষ অজ্ঞতার কারণেই পিতা-মাতার অবাধ্যচারী হয়ে পাপী হয়। অনেক পাপাচারীকে পরবর্তী জীবনে তাওবাহ্ করে পাপ থেকে ফিরে আসতে এবং নেককার হতে দেখা যায়। অনুরূপ মাতা-পিতার অবাধ্যাচারীর পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তার তাওবাহ্ ও ক্ষমার পথ একে করেই রুদ্ধ হয়ে যায় না। সন্তান যদি পরবর্তী জীবনে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবাহ্ ও ইস্তিগফার করে, অতঃপর নিরন্তর মৃত্যু মাতা-পিতার জন্য দু‘আ ইস্তিগফার করতে থাকে তাহলে আল্লাহ খুশী হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন এবং একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাত করায় এই পাপী বান্দাহকেই নেককার বান্দাহদের অন্তর্ভূক্ত করে নেন। অত্র হাদীসে সেদিকে ইশারা করা হয়েছে। সুতরাং নেককার গুনাহগার সকল সন্তানেরই উচিত নিয়মিত মৃত মাতা-পিতার জন্য দু‘আ ইস্তিগফার করা। হাদীসটি সানাদ দুর্বল হলেও অর্থগত বিষয়ে সঠিক। কেননা সহীহ হাদীসে রয়েছে, মাতা-পিতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে সদাচরণের পথ হলো তাদের জন্য দু‘আ করা। এ দু‘আর ক্ষেত্রে নেককার গুনাহগারের কোন পার্থক্য করা হয়নি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ