লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮১৩-[২] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দা কোন কোন সময় এমন কথা মুখ দিয়ে বলে, যাতে আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং এজন্যই তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন, অথচ বান্দা এ বিষয়ে ওয়াকিফহাল থাকে না। পক্ষান্তরে বান্দা কোন কোন সময় এমন কথা বলে, যাতে আল্লাহ তা’আলা অসন্তুষ্ট হন। এ কথা তাকে জাহান্নামের দিকে নিক্ষেপ করে, অথচ বান্দা এ বিষয়ে ওয়াকিফহাল থাকে না। (বুখারী)[1]
বুখারী ও মুসলিম-এর এক বর্ণনায় আছে যে, এ কথা তাকে জাহান্নামের মধ্যে এতটা দূরত্বে নিক্ষেপ করে যতটা দূরত্ব পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে রয়েছে।
بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ لَا يُلْقِي لَهَا بَالًا يَرْفَعُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَاتٍ وَإِنَّ الْعَبْدَ لِيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ لَا يُلْقِي لَهَا بَالًا يَهْوِي بِهَا فِي جَهَنَّمَ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا: «يَهْوِي بِهَا فِي النَّارِ أَبْعَدَ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ»
ব্যাখ্যাঃ হাদীসের শব্দ (لَيَتَكَلَّمُ) আবূ যার-এর এক বর্ণনায় ‘লাম’ অক্ষরটি বিলোপ করে (يَتَكَلَّمُ) ব্যবহার হয়েছে।
মানুষ অনেক সময় মুখ দিয়ে এমন কথা বলে থাকে যা সে মনোযোগ দিয়ে কিংবা গুরুত্ব দিয়ে বলে না এবং সে জানে না আল্লাহর নিকট ঐ কথার কত দাম ও মর্যাদা। আল্লাহ তা‘আলার কাছে ঐ কথার যেহেতু অনেক দাম ও মর্যাদা, অতএব তিনি তাকে ঐ অনিচ্ছাজনিত কথারই যথাযথ মূল্যায়ন করে তার সম্মান ও মর্যাদা এমনভাবে বৃদ্ধি করে দেন যে সম্মান বা মর্যাদার কথা সে ভাবতেও পারেনি।
পক্ষান্তরে অনেক কথাই রয়েছে যা মানুষের দৃষ্টিতে খুব দোষণীয় বা বড় ধরনের পাপের নয়, কিন্তু আল্লাহর নিকট তা খুবই অপছন্দনীয় এবং অসন্তষ্টির কারণ। মানুষ এমন কথা গুরুত্ব না দিয়ে বা পরিণাম ও ভবিষ্যৎ চিন্তা না করেই বলে ফেলে, ফলে আল্লাহ তার প্রতি খুব অসন্তুষ্ট হন। পরিণামে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়। মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীস দ্বারা মানুষকে চিন্তা-ভাবনা করে কথা বলার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)