লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বসা, ঘুমানো ও চলাফেরা করা
৪৭২৪-[১৮] জাবির ইবনু সামুরাহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন সাহাবায়ে কিরাম বসেছিলেন। (এ সময়) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বললেনঃ কি হলো? তোমাদেরকে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় দেখছি! (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن جَابر بن سَمُرَة قَالَ: جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ جُلُوسٌ فَقَالَ: «مَا لِي أَرَاكُمْ عِزينَ؟» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী (مَا لِي أَرَاكُمْ عِزينَ؟) কি হলো তোমাদেরকে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখছি। এর দ্বারা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্দেশ্য করেছেন তোমরা এভাবে পৃথক পৃথক হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বসবে না। বরং তোমরা সুন্দরভাবে সারিবদ্ধ হয়ে বসবে। অথবা গোলাকার হয়ে বসবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুশৃঙ্খল বৈঠক হবে সর্বোত্তম বৈঠক। দলবদ্ধ হওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘‘তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ করো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’’ (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১০৩)
বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন হয়ে বসা কাফিরদের বসার সাথে সাদৃশ্য রাখে। এই মর্মে মহান আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন : ‘‘অতএব, কাফিরদের কি হলো যে, তারা আপনার দিকে ছুটে আসছে ডান ও বাম দিক থেকে দলে দলে।’’ (সূরাহ্ আল মা‘আরিজ ৭০ : ৩৬-৩৭)
সুফ্ইয়ান (রহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেছেন, গোলাকার হয়ে বসা উত্তম। এলোমেলোভাবে বসার কারণে পরস্পরে মনোমালিন্য হতে পারে। যা ইসলামে অত্যন্ত ঘৃণিত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)