৪৬৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাম

৪৬৬৪-[৩৭] তুফায়ল ইবনু উবাই ইবনু কা’ব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি (তুফায়ল) ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর কাছে যাতায়াত করতেন এবং তাঁর সাথে সকাল বেলা বাজারে যেতেন। তিনি বললেনঃ যখন আমরা সকাল বেলা বাজারে যেতাম, তখন ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর নিয়ম ছিল, তিনি যখনই কোন সাধারণ দোকানদার, বিক্রেতা, মিসকীন এবং অন্য কোন মানুষের নিকট দিয়ে গমন করতেন, তখন তাদেরকে সালাম করতেন। বর্ণনাকারী তুফায়ল বলেন, আমার পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী একদিন আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি আমাকে সাথে করে বাজারের দিকে যেতে শুরু করলেন। আমি তাঁকে বললামঃ আপনি কেনা-বেচার জন্য কোথাও দাঁড়ান না, কোন জিনিসের দাম জিজ্ঞেস করেন না, কোন সওদা করেন না, আর বাজারের কোন মাজলিসেও বসেন না। সুতরাং আপনি আমার সাথে এখানে বসুন, আমরা হাদীস আলোচনা করি। তিনি (তুফায়ল) বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) আমাকে বললেনঃ হে প্রকাণ্ড পেটওয়ালা! [তুফায়লের পেট তুলনামূলক কিছুটা বড় ছিল] আমরা সকালবেলা শুধু সালাম করতে যাই। আমরা যাকেই সাক্ষাতে পাই, তাকেই সালাম করি। (মালিক ও বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমানে)[1]

وَعَن الطفيلِ بن أُبي بن كعبٍ: أَنَّهُ كَانَ يَأْتِي ابْنَ عُمَرَ فَيَغْدُو مَعَهُ إِلَى السُّوقِ. قَالَ فَإِذَا غَدَوْنَا إِلَى السُّوقِ لَمْ يَمُرَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَلَى سَقَّاطٍ وَلَا عَلَى صَاحِبِ بَيْعَةٍ وَلَا مِسْكِينٍ وَلَا أَحَدٍ إِلَّا سَلَّمَ عَلَيْهِ. قَالَ الطُّفَيْلُ: فَجِئْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَوْمًا فَاسْتَتْبَعَنِي إِلَى السُّوقِ فَقُلْتُ لَهُ: وَمَا تَصْنَعُ فِي السُّوقِ وَأَنْتَ لَا تَقِفُ عَلَى الْبَيْعِ وَلَا تَسْأَلُ عَن السّلع وتسوم بِهَا وَلَا تَجْلِسُ فِي مَجَالِسِ السُّوقِ فَاجْلِسْ بِنَا هَهُنَا نتحدث. قَالَ: فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: يَا أَبَا بَطْنٍ - قَالَ وَكَانَ الطُّفَيْلُ ذَا بَطْنٍ - إِنَّمَا نَغْدُو مِنْ أَجْلِ السَّلَامِ نُسَلِّمُ عَلَى مَنْ لَقِينَاهُ. رَوَاهُ مَالك وَالْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»

ব্যাখ্যাঃ (لَا تَجْلِسْ فِي مَجَالِسِ السُّوقِ) অর্থাৎ আপনি পবিত্র থাকার জন্য এবং বাজারে আগত ব্যক্তিদেরকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাজারে বসেন না।

(فَاجْلِسْ بِنَا هَهُنَا نَتَحَدَّثُ) এর মর্মার্থ হলো আমরা তোমার নিকট থেকে হাদীস শুনব। অথবা আমাদের কেউ কারো সাথে দীনী আলোচনা করবে বা দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে কথা বলবে।

(نُسَلِّمُ عَلٰى مَنْ لَقِينَاهُ) সাক্ষাত হয়ে থাকে দুই পক্ষের মাধ্যমে, এখানে সালাম হলো ‘আম, অর্থাৎ সালাম দেয়া ও জবাব দেয়া। কারণ উভয় পক্ষের জন্য পূর্ণ সাওয়াব রয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)