৪৫৪৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৪৮-[৩৫] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সতেরো, ঊনিশ ও একুশ তারিখে শিঙ্গা লাগাবে সে সকল রোগ হতে নিরাময় থাকবে। (আবূ দাঊদ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ احْتَجَمَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ وَتِسْعَ عَشْرَةَ وَإِحْدَى وَعِشْرِينَ كَانَ شِفَاءً لَهُ مِنْ كُلِّ دَاء» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ (مَنِ احْتَجَمَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ) ‘উলামায়ে কিরাম বলেনঃ এতে হিকমাত হলো মাসের প্রথমদিকে রক্ত বৃদ্ধি পায়। সুতরাং মাসের শেষার্ধের প্রথম দিকে শিঙ্গা লাগানো বেশি উপকারী। যেহেতু প্রথম দিকে রক্ত বেশি চলে আর শেষের দিকে কম চলে। সুতরাং শিঙ্গা লাগানোর মোক্ষম সময় হলো মাসের মাঝামাঝি সময়। এ হিকমাতের কথা উল্লেখ করেছেন ‘‘ফাতহুল ওয়াদূদ’’-এর গ্রন্থকার।

(وَإِحْدٰى وَعِشْرِينَ) অর্থাৎ- এ দিনগুলোর ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য তিনি মাসের একুশ তারিখে শিঙ্গা লাগাতেন।

(مِنْ كُلِّ دَاء) এটি হলো ‘আম বা সাধারণ। তবে এর উদ্দেশ্য হলো খাস বা নির্দিষ্ট। উদ্দেশ্য হলো : রক্তকে নিয়ন্ত্রণ করার কারণে সকল রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করবে। সকল ডাক্তার যে বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে- এ হাদীসটি তার অনুকূলে। তা হল- মাসের দ্বিতীয়ার্ধকে শিঙ্গা লাগানো তার পূর্বে শিঙ্গা লাগানোর চেয়ে উত্তম। চতুর্থাংশের শেষ ভাগে লাগানো তার পূর্বের চেয়ে উত্তম। (নায়লুল আওত্বার; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৫৭)