লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৪১-[২৮] উক্ত রাবী [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খাদীমাহ্ সালমা(রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরীরে যখনই কোন আঘাত লাগত অথবা জখম হত, তখন তিনি আমাকে ঐ স্থানে মেহেদী লাগাতে নির্দেশ দিতেন। (তিরমিযী)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وعنها قَالَت: مَا كَانَ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُرْحَةٌ وَلَا نَكْبَةٌ إِلَّا أَمَرَنِي أَنْ أَضَعَ عَلَيْهَا الْحِنَّاء. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ (قُرْحَةٌ) ‘‘করহাতুন’’ বলা হয়, তরবারি বা চাকুর আঘাতে যে জখমের সৃষ্টি হয় তাকে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, إِنْ يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِثْلُه ‘‘যদি তোমাদের কোন (তরবারি) আঘাত লেগে থাকে’’- (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৪০)।
আর (نَكْبَةٌ) ‘‘নুকবাহ্’’ বলা হয়, পাথর অথবা কাটা ইত্যাদির আঘাতে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকে।
(أَنْ أَضَعَ عَلَيْهَا الْحِنَّاء) ‘‘আমি যেন তার উপর মেহেদী লাগিয় দেই’’ কারণ মেহেদী লাগালে তার শীতলতার কারণে জখমের উত্তাপ হালকা হয়ে যায় এবং রক্তের যন্ত্রণা কমে যায়।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৪; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)