৪৫২৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৫২৬-[১৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কারো ওপর বদনযর লাগলে, কোন বিষাক্ত প্রাণী দংশন করলে এবং পাঁজরে খুজলি উঠলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়ফুঁক করতে অনুমতি দিয়েছেন। (মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَن أنسٍ قَالَ: رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرُّقْيَةِ مِنَ الْعَيْنِ وَالْحُمَّةِ وَالنَّمْلَةِ. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ ইমাম তূরিবিশ্তী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ নিষেধাজ্ঞার পরই সাধারণত অনুমতি আসে। ঝাড়ফুঁকে জাহিলী যুগের অনৈসলামিক ও শির্কী শব্দাবলীর ব্যবহারের শংকায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে তা দূরীভূত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে ঝাড়ফুঁকের অনুমতি প্রদান করা হয়। বদনযর, বিষাক্ত প্রাণী দংশন ও পাঁজরে খুজলীর কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি প্রদান করেছেন। শেষোক্ত দু’টি সমস্যায় পথ্য বিদ্যমান থাকলেও বদনযরের কোন পথ্য নেই। তাই এক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকই একমাত্র সমাধান। বদনযর যেমনিভাবে মানুষের পক্ষ থেকে সংঘটিত হয় তেমনি জীনদের বদনযরেও মানুষের ক্ষতি সাধিত হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমতি প্রদানের সাথে সাথে ঝাড়ফুঁকের শব্দাবলী ও পদ্ধতিও শিখিয়ে দিয়েছেন। হাদীসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থাবলীতে নির্ভরযোগ্য সূত্রে ঝাড়ফুঁকের শব্দাবলী বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। সহীহ মুসলিমে মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষত ও আহত লোকেদের ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে মাটিতে হাত রেখে চিকিৎসা করতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)