৪৪৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৭৭-[৫৯] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ইযার (লুঙ্গি) ব্যতীত গোসলখানায় প্রবেশ না করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার সহধর্মিণীকে গোসলখানায় প্রবেশ না করায় এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন এমন খাবার মাজলিসে না বসে, যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়। (তিরমিযী ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدخلِ الحمّامَ بِغَيْر إِزارٍ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يدْخل حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَجْلِسُ عَلَى مَائِدَةٍ تُدَارُ عَلَيْهَا الْخمر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ

ব্যাখ্যাঃ হাদীসে ঈমানদার ব্যক্তির তিনটি গুণাবলী উল্লেখ করা হয়েছে। এই তিনটি গুণাবলী উল্লেখের মাধ্যমে মূলত ঈমানদার ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস পরিহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে এবং আখিরাতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সে এই তিন কাজ করবে না।

প্রথম : সে লুঙ্গি অর্থাৎ সতর ঢাকার আবরণ ছাড়া গোসলখানায় প্রবেশ করবে না। এ সংক্রান্ত আরো বিবরণ আমরা উপরে দেখে এসেছি।

দ্বিতীয় : সে তার হালীলাহ্ তথা তার স্ত্রীকে এসব গোসলখানায় প্রবেশ করতে দিবে না। মেয়েদের এসব গোসলখানায় প্রবেশ যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি তার স্বামীর দায়িত্ব হলো তার স্ত্রীকে এমন জায়গায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়া। স্বামী তার স্ত্রীকে বারণ না করলে স্বামীও গোনাহগার হবে।

তৃতীয় : যে কর্মটি হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে তা হলো, এমন খাবারের টেবিলে খেতে না বসা যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়। মদপানকে কুরআন ও হাদীসে কঠিনভাবে হারাম করা হয়েছে। হারাম বা গোনাহের কাজে জড়িত হওয়া যেমন অপরাধ, তেমনি তার প্রতি সমর্থন বা তা ঘৃণা না করাও একটি অপরাধ।

অতএব যে টেবিলে মদ পরিবেশন হয় সেই টেবিলে বসে খাওয়া ঈমানদার ব্যক্তির আত্মমর্যাদার বিপরীত। সে হয়ত মদ পানে বাধা দিবে নতুবা এখান থেকে উঠে চলে যাবে। কোনটিই না করলে মদপানে তার সমর্থন বা অন্তত ঘৃণা নেই তা প্রমাণিত হয়। তাই হাদীসে তা নিষেধ করা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)