৪৪৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৫৫-[৩৭] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (খিযাব দ্বারা) বার্ধক্যকে পরিবর্তন করে দাও এবং ইয়াহূদীদের সাদৃশ্য গ্রহণ করো না (অর্থাৎ- তারা দাড়ি চুলে খিযাব ব্যবহার করে না)। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «غَيِّرُوا الشَّيْبَ وَلَا تشبَّهوا باليهودِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যাঃ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে- إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارٰى لاَ يَصْبُغُونَ فَخَالِفُوهُمْ  ‘‘নিশ্চয় ইয়াহূদ এবং নাসারারা (খ্রিস্টানেরা) রঞ্জক ব্যবহার করে না। অতএব তোমরা তাদের বিরোধিতা কর।’’

তুহফাতুল আহ্ওয়াযীতে নায়লুল আওত্বার-এর বরাতে লিখেন, এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, রঞ্জক ব্যবহার ও শুভ্রতা পরিবর্তন বৈধ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নাসারা ও ইয়াহূদীদের বিরোধিতা। এর মাধ্যমে খিযাব ব্যবহার মুস্তাহাব হওয়ার দিকটিও গুরুত্ব পায়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহলে কিতাবদের অনেক বেশি বিরোধিতা করতেন এবং এর নির্দেশ দিতেন। সালাফরাও এ সুন্নাতের অনেক গুরুত্ব দিতেন। এজন্যই ঐতিহাসিকদেরকে তুমি দেখবে যে, তারা তাদের চরিত লিখার সময় বলেন, তিনি খিযাব ব্যবহার করতেন এবং তিনি খিযাব ব্যবহার করতেন না। ইবনুল জাওযী লিখেন : সহাবা ও তাবি‘ঈনদের এক দল খিযাব লাগাতেন। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহিমাহুল্লাহ) যদি এমন কোন লোককে দেখতেন যে, তার দাড়িতে খিযাব লাগিয়েছে তখন বলতেন, আমি এমন এক লোক দেখছি যে একটি মরে যাওয়া সুন্নাত জীবিত করছে এবং তিনি তা দেখে আনন্দিত হতেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৭৫২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ