৪৪২২

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪২২-[৪] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা এবং বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা আর নাভির নিচের লোম মুড়ানোর ব্যাপারে যেন আমরা চল্লিশ দিনের অধিক ছেড়ে না রাখি। (মুসলিম)[1]

بَابُ التَّرَجُّلِ

وَعَن أَنس قَالَ: وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمِ الْأَظْفَارِ وَنَتْفِ الْإِبِطِ وَحَلْقِ الْعَانَةِ أَنْ لَا تُتْرَكَ أَكثر من أَرْبَعِينَ لَيْلَة. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ (وُقِّتَ لَنَا) অর্থাৎ আমাদের জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে বা সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটি মারফূ‘ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। যেমন বলা হয়, أُمِرْنَا بِكَذأ। অর্থাৎ আমাদেরকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সহীহ মুসলিম ছাড়া অন্য কিতাবের বর্ণনায় এসেছে, (وَقَّتَ لَنَا رَسُولُ اللهِ -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) অর্থাৎ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। (শারহুন নাবাবী ৩য় খন্ড, হাঃ ২৫৮/৫১)

উল্লেখিত হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোঁফ, নখ, বগলের নিচের পশম ও নাভির নিচের পশম কাটার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যার সর্বোচ্চ মেয়াদ হলো চল্লিশ দিন। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘‘আমরা যেন চল্লিশ রাতের বেশি না ছাড়ি’’ এর অর্থ হলো, আমরা এগুলো কাটা এমনভাবে ছেড়ে দিব না যে চল্লিশ দিন পার হয়ে যায়। (শারহুন নাবাবী ৩য় খন্ড, হাঃ ২৫৮/৫১)

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসের উদ্দেশ্য এই নয় যে, এগুলো কাটতে চল্লিশ দিন নিতে হবে, বরং চল্লিশ দিন পার না করাটা হাদীসের উদ্দেশ্য। এর ভিতর যে কোন দিন এগুলো কেটে নেয়া যায়। এগুলোর বৃদ্ধির অবস্থার ভিত্তিতে তা কেটে নিবে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নখ ও গোঁফ প্রতি জুমু‘আর দিন কেটে নিতেন বলে বিবরণ পাওয়া যায়। শারহুস্ সুন্নাহয় তা উল্লেখের পর বলেন, এই বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, নাভীর নিচের লোম কাটা ও বগলের পশম উপড়াতে দেরী করতেন। আর বাহ্যত এটাই বুঝা যায়; কেননা এগুলো এক সপ্তাহে লম্বা হয় না। কোন কোন বর্ণনায় ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি জুমু‘আর দিন গোঁফ ও নখ কেটে নিতেন, আর নাভীর নিচের পশম বিশ দিনে কাটতেন এবং বগলের পশম চল্লিশ দিনে উপড়াতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)