লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৬৫-[৬২] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলাম, সে সময় তিনি একটি চাদর দ্বারা ইহতিবা অবস্থায় বসে ছিলেন। আর তার ঝালর তাঁর দু’ পায়ের উপর পড়েছিল। (আবূ দাঊদ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْتَبٍ بِشَمْلَةٍ قَدْ وَقَعَ هُدْبها على قَدَمَيْهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে هُدْب ‘‘হুদ্ব’’ বা ঝালর বলতে পোশাকের পাড়কে বুঝানো হচ্ছে যা সাধারণত পোশাকের নিচের দিকে ঝুলে থাকে। এ রকম পাড়যুক্ত ঢিলেঢালা পোশাক পরা জায়িয। ইহতিবা এক ধরনের বসার পদ্ধতি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহতিবা করে বসেছিলেন; এ কথার অর্থ হলো তিনি সমান স্থানে বসে দুই হাঁটু উপরের দিকে দাঁড়া করিয়ে রাখেন। তারপর তার কাপড়ের ঝালর দুই হাঁটুর পিছন দিয়ে দুই হাত দিয়ে ঝালরের দুই মাথা ধরে রাখেন, যাতে মনে হয় তিনি কিছুতে হেলান দিয়ে বসে আছেন। যখন ‘আরবরা কোন কিছুর সাথে হেলান না দিয়ে বসে তখন এভাবে বসে। কারও মতে ইহতিবা হচ্ছে, দুই হাঁটুকে পেটের সাথে লাগিয়ে একটি কাপড় দিয়ে পিঠ ও হাঁটু পেঁচিয়ে দুই হাত দিয়ে হাঁটু জড়িয়ে বসা। অন্য হাদীসে ইহতিবা করে বসার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা কেউ যদি একটি কাপড় পরে বসে তাহলে তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ কেউ যদি এক কাপড়ে ইহতিবা করে বসে তখন তার কাপড়ের উপর দিয়ে লজ্জাস্থান দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এটি নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি লজ্জাস্থানকে অন্য কোন কাপড় দ্বারা ঢেকে তারপর ইহতিবা করে বসে তাহলে কোন সমস্যা নেই। কারণ তখন লজ্জাস্থান দেখা যাওয়ার যে আশঙ্কায় এরূপ বসতে নিষেধ করা হয়েছে সেই আশঙ্কা দূরীভূত হয়ে গিয়েছে। তাই আর কোন বাধা নেই। এ হাদীস দ্বারা ঝালরযুক্ত কাপড় পরিধান করার বৈধতা প্রমাণিত হয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪০৭১) [সম্পাদক]