লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৭-[৫] মিকদাম ইবনু মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, কোন মুসলিম কোন কওমের মেহমান হয়, আর সেই মেহমানের ভোর বঞ্চিত অবস্থায় হয়, তখন প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য হয়ে যায় তার সাহায্য করা। যাতে সে মেজবান ব্যক্তির মাল-সম্পদ হতে আতিথ্য পরিমাণ উসুল করে নিতে পারে। (দারিমী ও আবূ দাঊদ)[1]আবূ দাঊদ-এর অপর এক রিওয়ায়াতে আছে, সে আতিথ্য পরিমাণ তাদের সম্পদ হতে নিতে পারবে।
عَن المقدامِ بن معدي كرب سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَيُّمَا مُسْلِمٍ ضَافَ قَوْمًا فَأَصْبَحَ الضَّيْفُ مَحْرُومًا كَانَ حَقًّا عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ نَصْرُهُ حَتَّى يَأْخُذَ لَهُ بِقِرَاهُ مِنْ مَالِهِ وَزَرْعِهِ» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ وَأَبُو دَاوُد وَفِي رِوَايَة: «وَأَيُّمَا رَجُلٍ ضَافَ قَوْمًا فَلَمْ يُقْرُوهُ كَانَ لَهُ أَن يعقبهم بِمثل قراه»
ব্যাখ্যাঃ (مِنْ زَرْعِه وَمَالِه) ইমাম হাফিয খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটা হতে পারে ঐ নিরুপায় ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে খাওয়ার জন্য কোন কিছু পায় না। আর ক্ষুধার কারণে নিজের জীবন ধ্বংসের ভয় করে, সে ক্ষেত্রে সে নিয়ে নিবে। সে আতিথ্য পরিমাণ নিয়ে নিলে তার কারণীয় কী সে বিষয়ে লোকেদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে, সে (মেজবানকে) তার মূল্য পরিশোধ করে দিবে। এটি শাফি‘ঈ মতাবলম্বীদের মত।
অন্যরা বলেন, মূল্য পরিশোধ করা তার জন্য জরুরী নয়। হাদীস বিশারদগণের একদল এ কথার দিকে গিয়েছেন। তাদের দলীল হল- আবূ বকর (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য এক রাখালকে দিয়ে দুধ দোহন করে নিয়ে আসেন, সে সময় ছাগলের আসল মালিক সেখানে উপস্থিত ছিল না। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দুধ পান করেছিলেন। আর এ ঘটনা ঘটেছিল মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের সময়। তারা আরো একটি হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি বাগানে প্রবেশ করে, সে যেন সেখান থেকে খায় তবে পোটলা করে না নিয়ে যায়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৪৭)