৪১৯০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪১৯০-[৩২] সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি- যে ব্যক্তি ভোরে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু-টোনা তার ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَن سعدٍ قَالَ: سمعتُ رسولَ الله يَقُولُ: «مَنْ تَصَبَّحَ بِسَبْعِ تَمَرَاتٍ عَجْوَةٍ لَمْ يضرَّه ذَلِك الْيَوْم سم وَلَا سحر»

ব্যাখ্যাঃ (مَنْ تَصَبَّحَ بِسَبْعِ تَمَرَاتٍ عَجْوَةٍ) ‘‘যে ব্যক্তি সকালে ৭টি ‘আজওয়াহ্ খেজুর খেল’’। অর্থাৎ সকালে কিছু খাওয়ার পূর্বে ৭টি ‘আজওয়াহ্ খেজুর খেল।’’ অর্থাৎ সকালে মদীনার এক প্রকারের বড় খেজুর যার রং কিছুটা কালো যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবাদ করেছিলেন।

(لَمْ يَضُرَّهٗ ذٰلِكَ الْيَوْمَ سَمٌّ وَلَا سِحْرٌ) ‘‘ঐ দিন তাকে বিষের যাদুতে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’’ মুযহির বলেনঃ সম্ভবত এ খেজুরে এমন কিছু আছে যা বিষ ও যাদুকে প্রতিহিত করতে পারে অথবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ খেজুরের জন্য বারাকাতের দু‘আ করেছেন যার ফলে এ খেজুর দ্বারা রোগমুক্তি অর্জিত হয়।

‘আল্লামা নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অত্র হাদীসে মদীনার ‘আজওয়াহ্ খেজুরের ফাযীলাত বর্ণিত হয়েছে এবং সকাল বেলায় তার সাতটি ভক্ষণের মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। মদীনার ‘আজওয়াহ্ খেজুরের বৈশিষ্ট্য এবং সাত সংখ্যার বৈশিষ্ট্য এমন বিষয় যা শারী‘আত প্রণেতা জানেন আমরা তা জানি না।

অতএব তার প্রতি ঈমান আনা এবং তার মর্যাদার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখা আবশ্যক। এটা এমন এক বিষয় যা সালাতের রাক্‘আত সংখ্যা ও যাকাতের নিসাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার মতো।

(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৪৭)

ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘আজওয়াহ্ খেজুর খেলে বিষ বা যাদু ক্ষতি করতে পারে না, এতে শুধুমাত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু‘আর বারাকাতের কারণে নচেৎ খেজুরের মধ্যে আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য নেই।

(‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮৭২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ