৪১৮৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪১৮৮-[৩০] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কাউকেও নিজ সাথী ভাইদের অনুমতি ব্যতিরেকে দু’ খেজুর একসাথে খেতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقْرِنَ الرَّجُلُ بَيْنَ التَّمْرَتَيْنِ حَتَّى يستأذِنَ أَصْحَابه

ব্যাখ্যাঃ (نَهٰى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَّقْرِنَ الرَّجُلُ بَيْنَ التَّمْرَتَيْنِ) ‘‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন কোন ব্যক্তিকে দুই খেজুর মিলিয়ে খেতে’’ অর্থাৎ খাওয়ার সময় কোন ব্যক্তি যেন একবারে একই সাথে দুই খেজুর মুখে না দেয়।

(حَتّٰى يَسْتَأْذِنَ أَصْحَابَهٗ) ‘‘যতক্ষণ সে তার সঙ্গীদের নিকট থেকে অনুমতি না নেয়।

ইমাম সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসের এ নিষেধাজ্ঞা ছিল অভাবের কারণে। অতঃপর এ নিষেধাজ্ঞা রহিত হয়েছে সচ্ছলতা আসার পরে। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنِ الْقِرَانِ فِي التَّمْرِ وَأَنَّ اللهَ وَسَّعَ عَلَيْكُمْ فَاقْرِنُوا

আমি তোমাদেরকে একই সাথে দুই খেজুর খেতে নিষেধ করেছিলাম, অতএব এখন তোমরা ইচ্ছা করলে একই সাথে দুই খেজুর মিলিয়ে খাবে।

ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ দুই খেজুর একত্রে মিলিয়ে খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা নির্দিষ্ট একটি কারণে, আর তা হলো খাদ্যের স্বল্পতা আর এখন যেহেতু সেই অসচ্ছলতা নেই বরং মানুষ এখন সচ্ছল, তাই আর সে নিষেধাজ্ঞা নেই। অতএব অনুমতি ব্যতীতই দুই খেজুর একত্রে খেতে কোন বাধা নেই। তবে ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ খাদ্যে যদি একাধিক ব্যক্তি অংশীদার থাকে তাহলে তাদের অনুমতি ব্যতীত একত্রে মিলিয়ে খাওয়া হারাম। আর যদি খাদ্যে কোন অংশীদার না থাকে তাহলে মিলিয়ে খাওয়া হারাম নয়। অনুরূপ খাবারে স্বল্পতা থাকলে মিলিয়ে খাওয়াটা ভালো নয়, বরং অন্যদের মতই সমান সমান খাবে। আর খাদ্য যদি প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং খাদ্য গ্রহণের পরেও অবশিষ্ট থাকার সম্ভাবনা থাকে তাহলে মিলিয়ে খেতে দোষ নেই। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ২০৪৫)

ইবনুল খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ একই সাথে দুই খেজুর মিলিয়ে খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা খাওয়ার আদব তথা খাওয়ার সৌন্দর্য। তা হারাম নয়, এটা জামহূর ‘উলামার অভিমত। তবে এ দ্বারা যদি অপরের চাইতে বেশী খাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে তবে তা বৈধ নয়। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৪৮৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ