৪১২৬

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২৬-[২৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাল্লালার মাংস খেতে এবং তার দুধ পান করতে নিষেধ করেছেন। (তিরমিযী)[1]

আর আবূ দাঊদ-এর রিওয়ায়াতের মধ্যে আছে, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জাল্লালায় সওয়ার হতেও নিষেধ করেছেন।

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْلِ الْجَلَّالَةِ وَأَلْبَانِهَا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ: قَالَ: نُهِيَ عَنْ ركوبِ الْجَلالَة

ব্যাখ্যাঃ (الْجَلَّالَةِ) ‘জাল্লালাহ্’ হলো যে প্রাণী নাপাক খায়, অর্থাৎ মল খায়। আর এটা গরু, ছাগল, উট, ছাড়াও হাঁস, মুরগীসহ অন্যান্য প্রাণী হতে পারে। মল খেক প্রাণীর গোশত ও দুধ খাওয়া যাবে কিনা- এ ব্যাপারে ‘উলামার মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। আসহাবুর্ রায়, ইমাম শাফি‘ঈ, আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহিমাহুল্লাহ) এটা মাকরূহ বলেছেন। তারা বলেছেন, এ ধরনের প্রাণী কয়েকদিন আটকে না রেখে খাওয়া বৈধ নয়। কয়েকদিন বেঁধে রাখার ফলে গোশত কোন নাপাকীর চিহ্ন না থাকলে তা খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। অবশ্য একটি হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, গরু ৪০ দিন আটকে রেখে নাপাকীর আলামত নষ্ট হয়ে গেলে তা খাওয়াতে কোন দোষ নেই। ইবনু ‘উমার (রাঃ) মুরগী তিনদিন আটকে রাখতেন, এরপর তা যাবাহ করতেন। ইসহক বলেনঃ এ ধরনের প্রাণীগুলো উত্তমরূপে গোসল করানোর পর তার গোশত খাওয়াতে কোন দোষের কিছু নেই। হাসান বাসরী (রহিমাহুল্লাহ) মল খেক প্রাণীর গোশত খাওয়াতে কোন দোষ মনে করতেন না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭৮১)