লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুকুর সম্পর্কে বর্ণনা
৪১০১-[৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিকারী কুকুর কিংবা মেষ-দুম্বা পাহারাদানকারী কুকুর অথবা গবাদিপশু পাহারায় নিয়োজিত কুকুর ছাড়া অন্যান্য সব কুকুর বধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ ذِكْرِ الْكَلْبِ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِقَتْلِ الْكِلَابِ إِلَّا كَلْبَ صيدٍ أَو كلب غنم أَو مَاشِيَة
ব্যাখ্যাঃ ইমাম আল হারামায়ন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাথমিক পর্যায়ে সকল কুকুর হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর এটা রহিত করা হয়। অতঃপর গাঢ় কালো কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে। অতঃপর শারী‘আহ্ এ মর্মে স্বীকৃতি দেয় যে, যে সকল কুকুরের মাঝে কোন ক্ষতির আশংকা নেই সে সব কুকুর মারা নিষেধ, চাই তা কালো হোক বা না হোক।
আর কুকুর প্রতিপালনের যে বিষয়টা রয়েছে আমাদের সিদ্ধান্ত হলো, বিনা প্রয়োজনে কুকুর পালন করা হারাম। তবে শিকারী, ক্ষেত খামার পাহারা বা সেচন কাজের জন্য কুকুর পালন করা জায়িয।
এছাড়া বাড়ী পাহারা বা প্রহরী কিংবা এ জাতীয় কাজে কুকুর প্রতিপালন করা যাবে কিনা- এ বাপারে দু’টি দিক রয়েছে।
১. হাদীসগুলোর বাহ্যিক দিক বিবেচনায় ক্ষেতের, পাহারা, সেচন কাজে ব্যবহৃত কুকুর ও শিকারী কুকুর- এ তিনটি ছাড়া কোন কাজের জন্য কুকুর প্রতিপালন জায়িয নেই।
২. হাদীসে উল্লেখিত তিনটি বিষয়ের উপর ক্বিয়াস করে কারণ বিবেচনায় জায়িয। অর্থাৎ প্রয়োজন থাকলে জায়িয এবং এটাই বিশুদ্ধ। (শারহুন নাবাবী ১০ম খন্ড, হাঃ ১৫৭১/৪৬)