৪০৭৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৪০৭৩-[১০] শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক জিনিসের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে (ক্বিসাস ইত্যাদিতে) হত্যা করবে, তখন তাকে উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করবে। আর যখন কোন প্রাণীকে যাবাহ করবে, তখন তাকে উত্তমরূপেই যাবাহ করবে। তোমরা অবশ্যই ছুরি ধার দিয়ে নেবে এবং যাবাহকৃত পশুকে শান্তি দেবে। (মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذَّبْحَ وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যাঃ (إِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ) ব্যাখ্যাকার বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ওপর প্রত্যেক বস্তুর ক্ষেত্রে অনুগ্রহ করা আবশ্যক করেছেন। চায় তা জীবিত বা মৃত মানুষ ও প্রাণী হোক।

এ বাক্য দ্বারা এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ। আর চরিত্রকে পূর্ণাঙ্গতা দেয়ার জন্য তাকে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তার উম্মাতের জন্য তার অনুসরণের মাধ্যমে এই গুণের একটি অংশ রয়েছে।

ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অত্র হাদীসে নির্দেশসূচক বাক্য ব্যবহার করে ইহসান তথা দয়া ও অনুগ্রহ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হলেও এখানে দয়া ও অনুগ্রহ করা মুস্তাহাব।

আর اِحْسَانٌ অর্থ অনুগ্রহ করা। অনুগ্রহ করা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- পশুকে আরাম ও শান্তি দেয়া। ধারালো ছুরি দ্বারা ও দ্রুত ছুরি চালানোর মাধ্যমে যাবাহ করা।

(وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهٗ) অর্থাৎ তোমরা অবশ্যই ছুরি ধার করে নিবে। যাবাহকৃত পশুর সামনে ছুরি ধার না করা মুস্তাহাব বা কাম্য এবং কোন পশুকে অপর কোন পশুর সামনে যাবাহ না করাই ভালো এবং পশুকে কসাইখানায় না নিয়ে যাওয়াই ভালো।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অত্র হাদীসটি ব্যাপক অর্থবোধক তথা দয়া ও অনুগ্রহ যে কোন পশু যাবাহ করার ক্ষেত্রে হতে পারে এবং মানুষকে ক্বিসাস ও শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রেও হতে পারে।

আমাদের ‘আলিমগণ বলেনঃ পশুর জান বের হওয়ার পূর্বে চামড়া ছাড়ানো অপছন্দনীয় কাজ। কেননা অত্র হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, সব ধরনের কষ্ট প্রদানে ও শাস্তিদানে কোন উপকার নেই। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهٗ) এবং যাবাহকৃত পশুকে শান্তি দিবে। ইবনুল মালিক বলেনঃ যাবাহকৃত পশুকে আত্মা বের না হওয়া পর্যন্ত রেখে দিবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮১১)