লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১১৬১৷ একশত বছর পরে এমন কোন সন্তান ভূমিষ্ট হবে না যার ব্যাপারে আল্লাহর কোন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
হাদীসটি বানোয়াট।
ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (৭২৮৩) আহমাদ ইবনুল কাসেম ইবনে মুসাবির জাওহারী ও মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার ইবনে আ’য়ুন হতে, তারা দু’জন খালেদ ইবনু খুদাশ হতে, তিনি হাম্মাদ ইবনু যায়েদ হতে, তিনি আইয়ুব হতে তিনি আল-হাসান হতে, তিনি সাখর ইবনু কুদামাহ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল আর হাদীসের ভাষা বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে উক্ত সাখর ইবনু কুদামাহ। কারণ, তাকে শুধুমাত্র এ হাদীসেই চেনা যায়। তাকে ইমাম বুখারী “আত-তারীখ” গ্রন্থে, ইবনু আবী হাতিম "আল-জারহু অত-তা’দীল" গ্রন্থে এবং ইবনু হিব্বান “আস-সিকাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেননি।
হাদীসটির আরেকটি সমস্যা হচ্ছে এই যে, এটি হাসান বাসরী হতে আন আন করে বর্ণনাকৃত। কারণ তিনি মুদাল্লিস। আমার নিকট স্পষ্ট হচ্ছে যে, হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে সাখরের উদ্বৃতিতে যিনি হাদিসটি হাসান বাসরীর নিকট বর্ণনা করেছেন তার থেকেই। কারণ, আইউব বলেনঃ আমি সাখর ইবনু কুদামার সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে এ হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি উত্তরে বলেনঃ আমি হাদীসটি সম্পর্কে জানি না।
হাফিয ইবনু হাজার সাখর ইবনু কুদামাকে "আল-ইসাবা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু মান্দা বলেনঃ সাখর ইবনু কুদামার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎ ঘটেছে কিনা তা বিতর্কিত বিষয়। তিনি স্পষ্ট করেননি যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শ্ৰবণ করেছেন, আর হাসান বাসরীও স্পষ্ট করেননি যে তিনি সাখর হতে শ্রবণ করেছেন। আলোচ্য হাদীসটির ব্যাপারে এটি দ্বিতীয় সমস্যা।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার (সাখরের) ন্যায়পরায়ণতা যদি সাব্যস্ত হয় তাহলে সে ব্যক্তিই মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী যে সাখর এবং হাসান বাসরীর মাঝে মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করেছে।
হাফিয যাহাবী বর্ণনাকারী খালেদ ইবনু খুদাশের জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ এ খালেদ সম্পর্কে সমালোচনা করা হয়েছে। সাখর একজন তাবেঈ, আর হাদীসটি মুনকার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ উক্ত খালেদকে একদল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন এবং তিনি ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারী। তবে তিনি যে হাদীসটিকে মুনকার আখ্যা দিয়েছেন তাই সঠিক। ইবনু শাহীনও হাদীসটিকে মুনকার আখ্যা দিয়েছেন।
মোটকথাঃ হাদীসটির সনদের সমস্যা হচ্ছে মুরসাল হওয়া, মুরসাল হিসেবে বর্ণনাকারীর অপরিচিত হওয়া এবং হাসান বাসর হতে আন আন করে বর্ণনাকৃত হওয়া। আর হাদীসের ভাষা নিৰ্দ্ধিধায় বানোয়াট। কারণ, হাদীসটি বহু সহীহ হাদীস বিরোধী। যেমন একটি হাদীসে বলা হয়েছে “আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদাই হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।” এ হাদীসটিকে আমি "সিলসিলাহ সহীহাহ" গ্রন্থে (নং ২৭০, ৪০৩) উল্লেখ করেছি। আরেকটি হাদীসের মধ্যে বলা হয়েছেঃ "আমার উম্মাত বৃষ্টির ন্যায়, যে বৃষ্টি সম্পর্কে জানা যায় না যে কল্যাণ তার প্রথমাংশে নাকি শেষাংশে।" এ হাদীসটিও "সিলসিলাহ্ সহীহাহ" গ্রন্থে (নং ২২৮৬) উল্লেখ করা হয়েছে।
لا يولد بعد سنة مائة مولود لله فيه حاجة موضوع - أخرجه الطبراني في " الكبير " (7283) : حدثنا أحمد بن القاسم بن مساور الجوهري ومحمد بن جعفر بن أعين قالا: حدثنا خالد بن خداش: حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن الحسن عن صخر بن قدامة قال: فذكره مرفوعا قلت: وهذا إسناد ضعيف، ومتن موضوع، وعلته صخر بن قدامة هذا، فإنه لا يعرف إلا في هذا الحديث، ولم يورده البخاري في " التاريخ " ولا ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " ولا ابن حبان في " الثقات " فإنه على شرطه وثمة علة أخرى وهي عنعنة البصري، فإنه كان مدلسا، ويبدو لي أن الآفة ممن حدثه عن صخر؛ فإن هذا قد أنكر الحديث لما سئل عنه، فقد أخرجه ابن شاهين عن خالد له. وزاد في آخره قال أيوب: فلقيت صخر بن قدامة فسألته عنه فقال: لا أعرفه ذكره الحافظ في " الإصابة " وقال " قال ابن منده: صخر بن قدامة مختلف في صحبته. قلت: لم يصرح بسماعه من النبي صلى الله عليه وسلم، ولم يصرح الحسن بسماعه منه، فهذه علة أخرى لهذا الخبر " قلت: فإن ثبتت عدالته، فالمتهم به الواسطة بينه وبين الحسن البصري، لأنه إن كان عدلا، فيبعد أن يكون حدث ثم ينكره. فتأمل وقد خفيت هذه العلة الأولى على ابن الجوزي، فإنه أورد الحديث في " الموضوعات " (3/192) عن خالد بن خداش دون أن يعزوه لأحد، ثم قال " قال أحمد بن حنبل: ليس بصحيح. قلت: فإن قيل: فإسناده صحيح، فالجواب: إن العنعنة تحتمل أن يكون أحدهم سمعه من ضعيف أوكذاب، فأسقط اسمه، وذكر من رواه له عنه بلفظ (عن) . وكيف يكون صحيحا وكثير من الأئمة والسادة ولدوا بعد المائة وأشار الذهبي إلى أن علة ثالثة، وذلك بأن أورده في ترجمة خالد بن خداش هذا وذكر اختلاف العلماء فيه. ثم ساقه من رواية الرمادي في " تاريخه ": حدثنا خالد بن خداش به. وعقب عليه بقوله " قلت: وصخر تابعي، والحديث منكر " قلت: وما أشار إليه مما لا يلتفت إليه، فإن خالدا هذا وثقه جماعة، وروى له مسلم، وفوقه ما ذكرنا من العلل، فالتعلق بها في إنكار الحديث هو الواجب وقد خفي ذلك كله على الهيثمي فقال في " المجمع " (8/159) " رواه الطبراني عن شيخيه أحمد بن القاسم بن مساور ومحمد بن جعفر بن أعين ولم أعرفهما، وبقية رجاله رجال الصحيح فأقول: ابن مساور ترجمه الخطيب في " التاريخ " (4/349) برواية جمع من الحفاظ الثقات عنه وقال " وكان ثقة " ومثله قرينه ابن جعفر، وهو محمد بن جعفر بن محمد بن أعين أبو بكر، ترجمه الخطيب أيضا (2/128 - 129) وروى عن سعيد بن يونس أنه قال " بغدادي قدم مصر، وحدث بها، وكان ثقة " ولذلك لما أخرج ابن شاهين الحديث من طريقه، وقال عقبه " هذا حديث منكر، وهذا البغدادي (يعني محمدا هذا) لا أعرفه " تعقبه الحافظ بقوله " قلت: هو ثقة مشهور، ولم يتفرد به " وجملة القول: إن علة الحديث الإرسال، وجهالة المرسل، وعنعنة الحسن البصري . والمتن موضوع قطعا لمعارضته لأحاديث كثيرة صحيحة، كحديث " لا تزال طائفة من أمتي.. " بطرقه الكثيرة المخرجة في " الصحيحة " (270 و403) وحديث: " أمتي كالمطر لا يدرى الخير في أوله أم في آخره " وهو مخرج في " الصحيحة " (2286) مع مخالفة الحديث للواقع كما تقدم عن ابن الجوزي واعلم أن الحديث وقع في جميع المصادر التي نقلت عنها بلفظ الترجمة " مائة " إلا " الميزان "، فهو فيه بلفظ " ستمائة "، وكذا في " موضوعات علي القارىء " (ص - 471) ووقع في " اللآلي المصنوعة " (2/389) من رواية ابن قانع بلفظ " المائتين ". وهو باللفظ الأول أبطل من اللفظين الآخرين. كما لا يخفى عبى ذي عينين