১২০৫

পরিচ্ছেদঃ ১. ব্যভিচারীর দণ্ড - ব্যভিচারীর দণ্ড প্রসঙ্গে যা বর্ণিত হয়েছে

১২০৫। আবূ হুরাইরা ও যায়দ ইবনু খালিদ জুহানী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি যে, আপনি আল্লাহর কিতাব মুতাবেক আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন’। তখন তার প্রতিপক্ষ যে এর থেকেও বেশি বাকপটু সে দাঁড়িয়ে বলল, ’সে ঠিকই বলেছে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মুতাবেক ফয়সালা করুন এবং আমাকে কথা বলার অনুমতি দিন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি বলো। তখন বেদুঈন বলল, ’আমার ছেলে এ লোকের বাড়িতে মজুর ছিল। অতঃপর তার স্ত্রীর সঙ্গে সে যিনা করে’। লোকেরা আমাকে বললো, তোমার ছেলের উপর রজম (পাথরের আঘাতে হত্যা) ওয়াজিব হয়েছে।

তখন আমার ছেলেকে একশ বকরী এবং একটি বাঁদীর বিনিময়ে এর নিকট হতে মুক্ত করে এনেছি। পরে আমি আলিমদের নিকট জিজ্ঞেস করলে তারা বললেন, ’তোমার ছেলের উপর একশ’ বেত্ৰাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন ওয়াজিব হয়েছে’। আর এ নারীকে রজম করতে হবে। সব শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে সত্ত্বার হাতে আমার প্রাণ! আমি তোমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মুতাবেকই ফয়সালা করব। বাঁদী এবং বকরী পাল তোমাকে ফেরত দেয়া হবে, আর তোমার ছেলেকে একশ’ বেত্ৰাঘাতসহ এক বছরের নির্বাসন দেয়া হবে’। আর অপরজনের ব্যাপারে বললেন, ’হে উনাইস! তুমি আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর নিকট যাবে, সে যিনা করার স্বীকৃতি দিলে তাকে রজম করবে’।[1]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عنهما - أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَعْرَابِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَّا قَضَيْتَ لِي بِكِتَابِ اللَّهِ, فَقَالَ الْآخَرُ - وَهُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ - نَعَمْ. فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ, وَأْذَنْ لِي, فَقَالَ: «قُلْ». قَالَ: إنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ, وَإِنِّي أُخْبِرْتُ أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ, فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمَائَةِ شَاةٍ وَوَلِيدَةٍ, فَسَأَلَتُ أَهْلَ الْعِلْمِ, فَأَخْبَرُونِي: أَنَّمَا عَلَى ابْنِيْ جَلْدُ مَائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ, وَأَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ, فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ, لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ, الْوَلِيدَةُ وَالْغَنَمُ رَدٌّ عَلَيْكَ, وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ, وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ إِلَى امْرَأَةِ هَذَا, فَإِنْ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ, هَذَا وَاللَّفْظُ لِمُسْلِمٍ - صحيح. رواه البخاري (5/ 301/فتح)، ومسلم (3324 - 1325) وتمامه: فغدا عليها. فاعترفت. فأمر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم، فرجمت


Abu Hurairah and Zaid bin Khalid al-Juhani (RAA) narrated that a Bedouin came to the Prophet (ﷺ) and said, 'O Messenger of Allah! I beseech you by Allah, that you judge between us according to Allah's laws' The man's opponent who was wiser than him got up and said, 'Yes, judge between us according to Allah's Law and kindly allow me (to speak).' The Prophet (ﷺ) said: "Speak." He said, 'My son was a laborer working for that man (the Bedouin) and he committed illegal sexual intercourse with his wife, and I was informed that my son deserved to be stoned to death (as punishment for this offence). I ransomed him with one hundred sheep and a slave girl. But when I asked the knowledgeable people they told me that my son should receive a hundred lashes and be exiled for a year, and the man's wife should be stoned to death. The Messenger of Allah (ﷺ) replied, "By Him in Whose Hands my soul is, I shall judge between you according to the Law of Allah (i.e. His Book). The slave girl and the sheep are to be returned to you. As for your son, he has to receive one hundred lashes and be exiled for a year. O Unais! Go to this man's wife, and if she confesses, then stone her to death." Agreed upon, and this is Muslim's version.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ