লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান
৩৭৭৯-[২২] খুরায়ম ইবনু ফাতিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করে দাঁড়িয়ে তিনবার বললেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্যদানকে আল্লাহর সাথে শির্ক করার সমতুল্য করা হয়েছে। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ ’’মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো এবং মিথ্যা কথা থেকেও বিরত থাকো এমতাবস্থায় যে, বাতিলকে বর্জন করতঃ আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَن خُريمِ بن فاتكٍ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الصُّبْحِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَامَ قَائِمًا فَقَالَ: «عُدِلَتْ شَهَادَةُ الزُّورِ بِالْإِشْرَاكِ بِاللَّهِ» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. ثُمَّ قَرَأَ: (فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ حُنَفَاءَ لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بهِ) رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে قَوْلَ الزُّوْرِ তথা মিথ্যা সাক্ষীকে শির্কের সমগোত্রীয় করা হয়েছে অর্থাৎ মিথ্যা সাক্ষী দিলে সেই অপরাধ হয় যা শির্ক করলে হয়।
হাদীসটিতে উল্লেখিত قَوْلَ الزُّوْرِ -এর ব্যাখ্যায় ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এর অর্থ হচ্ছে সঠিকটা না বলে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। হাদীসটিতে মিথ্যা সাক্ষীর কঠোর বিরোধিতা করা হয়েছে। এর ভয়াবহতা বর্ণনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত নিয়ে এসেছেন, মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘‘তোমরা মূর্তিপূজা থেকে বিরত থাক এবং মিথ্যা সাক্ষী প্রদান থেকে বিরত থাক আল্লাহর সাথে শির্ক না করে একনিষ্ঠ হয়ে যাও’’- (সূরা আল হজ্জ/হজ ২২ : ৩০)। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৯৬; মিরকাতুল মাফাতীহ)