লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান
৩৭৬৭-[১০] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার যুগের মানুষ সর্বোত্তম। তারপর তাদের পরবর্তী যুগের লোকেরা এবং এরপর তাদের পরবর্তী যুগের লোকেরা। অতঃপর এমন সব লোকের আগমন ঘটবে যাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য কসমের অগ্রগণ্য হবে এবং কসম সাক্ষ্য হতে অগ্রগণ্য হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْأَقْضِيَةِ وَالشَّهَادَاتِ
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ تَسبِقُ شَهَادَة أحدِهمْ يَمِينه وَيَمِينه شَهَادَته»
ব্যাখ্যা: এ হাদীসটিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের মধ্যে একটি নির্দেশনা দিয়ে দিলেন যে, মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ হলেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের মানুষ অর্থাৎ সাহাবীগণ, অতঃপর উত্তম মানুষ হলেন তৎপরবর্তী লোকেরা অর্থাৎ তাবি‘ঈগণ, এরপর উত্তম মানুষ হলেন তাবি-তাবি‘ঈগণ। অত্র হাদীটিতে বলা হয়েছে, সর্বোত্তম যুগ, আমার যুগ এখানে ‘যুগ’ দ্বারা উদ্দেশ্য কি? তা নিয়ে বিজ্ঞজনের মাঝে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন ৩০ বছর, কেউ বলেছেন ৪০ বছর, কেউ বলেছেন ৬০ বছর, কেউ বলেছেন ৭০ বছর, কেউ বলেছেন ৮০ বছর, কেউ বলেছেন ১০০ বছর এর কথা ব্যক্ত করেছে।
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি বাচ্চার মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন, তুমি একযুগ বেঁচে থাক, পরবর্তীতে দেখা গেল বাচ্চাটি ১০০ বছর জীবিত ছিল। এখান থেকে দলীল নিয়ে কেউ কেউ একযুগ সমান সমান ১০০ বছর এর উল্লেখ করেছন।
হাদীসটিতে একশ্রেণীর মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যারা সাক্ষী না চাওয়া হলেও তারা সাক্ষী দিবে এর অর্থ হলো তারা মিথ্যা সাক্ষী দিবে। এমনটিই ব্যাখ্যা করেছেন কাযী ‘ইয়াযসহ অন্যান্য ‘উলামায়ে কিরাম। (শারহে মুসলিম ১৬শ খন্ড, হাঃ ২৫৩৩; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩০৩; মিরকাতুল মাফাতীহ)