লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৪১-[১১] ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শাসক যে পর্যন্ত না জুলুম ও অবিচার করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তার সাথে থাকেন। কিন্তু যখন সে জুলুম ও অবিচার করতে থাকে, তখন আল্লাহর সাহায্য তার ওপর থেকে সরে যায় এবং শায়ত্বন তার সহচর হয়। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ্)[1]
আর ইবনু মাজাহ্-এর অপর বর্ণনাতে আছে, যখন সে জুলুম ও অবিচার করে তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে তার নাফসের প্রতি অর্পণ করেন।
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ مَعَ الْقَاضِي مَا لَمْ يَجُرْ فَإِذَا جَارَ تَخَلَّى عَنْهُ وَلَزِمَهُ الشَّيْطَانُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَفِي رِوَايَةٍ: «فَإِذَا جارَ وَكله إِلَى نَفسه»
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে বিচার কাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিচারক যদি ন্যায় বিচার করেন তাহলে তার ওপর আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হয়। পক্ষান্তরে যদি জুলুম করেন তাহলে আল্লাহর সাহায্য বন্ধ হয়ে যায় এবং শায়ত্বন তার সাথী হয়ে যায়। ইবনু মাজাহ-এর অপর বর্ণনায় এসেছে, তাকে তার অভিভাবক বানিয়ে দেয়া হয় আল্লাহ তার দায়িত্ব নেয়া থেকে মুক্ত হয়ে যান। এ বিষয়ে ‘আব্দুল্লাহ বিন মাস্‘ঊদ থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা আছে সেখানে বলা হয়েছে, আল্লাহ বিচারকের সাথে থাকেন অর্থাৎ তাকে সাহায্য করেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে ইচ্ছাকৃত জুলুম না করে। ইমাম ত্ববারানী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং মানাবী (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীসের সানাদে জা‘ফার বিন সুলায়মান আল কাবী নামক রাবী য‘ঈফ হওয়ার কারণে হাদীসটি য‘ঈফ। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৩৩০; মিরকাতুল মাফাতীহ)