৩৬৭৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৭৭-[১৭] ’আরফাজাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে শীঘ্রই কলহ-বিবাদ ও বিশৃঙ্খলার উদ্ভব হবে। সুতরাং উম্মাতের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত থাকার পরও যে ব্যক্তি বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, তাকে তরবারির আঘাতে হত্যা করে ফেলো, সে যে কেউ হোক না কেন। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ عَرْفَجَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّهُ سَيَكُونُ هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يُفَرِّقَ أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ وَهِيَ جَمِيعٌ فَاضْرِبُوهُ بِالسَّيْفِ كَائِنًا مَنْ كانَ» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: অচিরেই মুসলিমদের মাঝে জমিনের উপরে ফিতনা-ফাসাদ, হাঙ্গামা, শত্রুতা প্রকাশ পাবে। মানুষ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অনুসন্ধানকামী হবে। নিশ্চয় প্রথমে যে ইমাম, খলীফার বায়‘আত গ্রহণ করা হয়েছে নেতৃত্ব তার নিকটেই থাকবে, তারা মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করা ও ফাটল সৃষ্টি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(كَائِنًا مَنْ كانَ) ‘‘চাই সে যে কেউ হোক না কেন?’’

* ইমাম নাসায়ী ইবনু হিব্বান বর্ণনা করেছেন : ‘আর্ফাজাহ্ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় অচিরেই ফাসাদণ্ডহাঙ্গামা সৃষ্টি হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি দেখবে জামা‘আতের ঐক্য বিচ্ছিন্ন করতে অথবা উম্মাতের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত থাকার পরও পার্থক্য করতে চায়। সে যে কেউ হোক না কেন তাকে হত্যা করবে। কেননা আল্লাহর ক্ষমতা, শক্তি জামা‘আতের ঐক্যতার উপরে রয়েছে। কেননা শায়ত্বন জামা‘আতের ঐক্য বিনষ্টকারীর সাথে দৌড়ায়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

উল্লেখিত হাদীসে هَنَاتٌ শব্দের অর্থ হলো অনিষ্ট বা খারাপী কিংবা বিশৃঙ্খলা। এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সকল ফিতনাহ্ ফাসাদ যা মানুষের নিকট ধারাবাহিকভাবে আসবে।

উক্ত হাদীসের গোপন অর্থ হচ্ছে অচিরেই পৃথিবীতে বিভিন্ন ফিতনা-ফাসাদ প্রকাশ পাবে নেতৃত্বের লোভে, প্রত্যেক দিক থেকে ঐ সময় ইমাম হিসেবে গণ্য হবে ঐ ব্যক্তি, যার বায়‘আত প্রথমে সংঘটিত হয়েছে। মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থায় যে ব্যক্তি মুসলিম উম্মাহর মাঝে ফাটল সৃষ্টি করে ইসলাম তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার জন্য আদেশ করেছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (كَائِنًا مَنْ كانَ) এর অর্থ হচ্ছে সে ব্যক্তির আমার বংশধর হোক বা অন্য কেউ হোক সর্বাবস্থায় খিলাফাতের হকদার হবে প্রথমজন। (শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৮৫২; ‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৪৯)