লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মানৎ
৩৪৩৬-[১১] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোনো অমূলক জিনিসের মানৎ করল, তার কাফফারা কসমের কাফফারার ন্যায়। আর যে কোনো গুনাহের কাজের মানৎ করল, তার কাফফারাও কসমের কাফফারার ন্যায়। আর যে এমন কাজের মানৎ করল যা আদায় করার সে সামর্থ্য রাখে না, তার কাফফারাও কসমের কাফ্ফারার ন্যায়। আর যে ব্যক্তি এমন কাজের মানৎ করল যা আদায় করার সামর্থ্য রাখে, তাহলে সে যেন অবশ্যই তা আদায় করে। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ; কোনো কোনো রাবী এ হাদীসটিকে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর ওপর মাওকূফ করেছেন)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَذَرَ نَذْرًا لم يسمه فَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ. وَمَنْ نَذَرَ نَذْرًا لَا يُطِيقُهُ فَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ. وَمَنْ نَذَرَ نَذْرًا أَطَاقَهُ فَلْيَفِ بِهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَه وَوَقفه بَعضهم على ابْن عَبَّاس
ব্যাখ্যা: (مَنْ نَذَرَ نَذْرًا لَمْ يُسَمِّه) তথা মানৎকারী বলল, আমি মানৎ করলাম এবং কোনো মানৎ নির্দিষ্ট করল না তার সওম না অন্য কিছু। হাদীসে প্রমাণিত হয়, যে মানৎ উল্লেখ হয় না তার কাফফারা কসমের কাফফারার ন্যায়। ইমাম নববী বলেন, হাদীসের মর্মার্থের ব্যাপারে ‘উলামাগণের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। জুমহূরদের মতে এটা প্রযোজ্য জিদ বা একগুয়েমীর ক্ষেত্রে মানৎকারী ইচ্ছা করলে মানৎ পুরা করতে পারে, আবার কাফফারাও দিতে পারে।
ইমাম মালিক এবং অনেকে মানৎ দ্বারা ‘আম্ মানৎ পোষণ করেছেন। আর ফুকাহায়া সকল প্রকার মানৎকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং তারা বলেন, সকল প্রকার মানতে মানৎকারীর স্বাধীনতা রয়েছে ইচ্ছা করলে পুরা করবে অথবা কসমের কাফফারা দিবে।
ইমাম শাওকানী বলেনঃ দৃশ্যত হাদীসের ভাষ্য এমন মানতের ক্ষেত্রে উল্লেখ হয়নি। আর নামীয় মানৎ যদি আনুগত্যশীল হয় তবে বাস্তবায়নে অসাধ্য হয় তাহলে কসমের কাফফারা হবে। আর যদি সাধ্যের মধ্যে হয় তাহলে সে মানৎ পুরা করা ওয়াজিব, চাই তা শারীরিকের মাধ্যমে হোক বা অর্থের মাধ্যমে হোক। আর যদি নামীয় মানৎ পাপমুক্ত হয় তা পুরো করতে হবে ও বাস্তবায়নও হবে না এবং কাফ্ফারাও অপরিহার্য হবে না। আর যদি মানৎ মুবাহ তথা বৈধ হয় এবং সাধ্যের মধ্যে তাহলে অধিকতর সঠিক মত হলো তা বাস্তবায়ন হবে। আর যদি সাধ্যের বাইরে হয় তাহলে কাফফারা লাগবে। আর এটাই সহীহ হাদীসগুলোর মর্মার্থ। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৪৩৬)