লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৪১-[৪] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈল না হলে গোশ্ত/মাংস কক্ষনো নষ্ট হত (পঁচে যেত) না। আর (মা) হাওয়া না হলে কক্ষনো কোনো নারী স্বামীর খিয়ানাত (ক্ষতি সাধন) করত না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ عِشْرَةِ النِّسَاءِ وَمَا لِكُلِّ وَاحِدَةِ مِّنَ الْحُقُوْقِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلَا بَنُو إِسْرَائِيلَ لَمْ يَخْنَزِ اللَّحْمُ وَلَوْلَا حَوَّاءُ لَمْ تَخُنْ أُنْثَى زَوجهَا الدَّهْر»
ব্যাখ্যা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ‘‘বানী ইসরাঈল যদি না হতো তাহলে গোশত পচন ধরত না।’’ এটা মূসা (আঃ)-এর যামানায় ঘটেছিল। গোশত পচনের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তার নি‘আমাতের সাথে কুফরীর শাস্তি প্রদান করেছেন। মূসা (আঃ)-এর যামানায় বানী ইসরাঈলদের প্রতি আসমান থেকে সকাল-বিকাল খাদ্য (গোশত রুটি) অবতীর্ণ হতো, শর্ত ছিল তারা খাবে কিন্তু সঞ্চয় রাখতে পারবে না। কিন্তু তারা আল্লাহর প্রতি দৃঢ় আস্থা না থাকায় তার হুকুমকে অমান্য করে জমা করে রাখতে শুরু করল ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ওপর শাস্তি হিসেবে গোশত পচন ধরা শুরু করল। সেই যে শুরু হলো অদ্যাবধি তা আর বন্ধই হলো না।
‘আল্লামা কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ হাওয়া (আঃ) যদি আদম (আঃ)-কে আল্লাহর আদেশ অমান্য করিয়ে গাছের ফল ভক্ষণে প্ররোচিত না করত তাহলে পৃথিবীর কোনো নারী তার স্বামীর খিয়ানাত করত না।
কেউ কেউ বলেনঃ হাওয়া (আঃ)-এর খিয়ানাতটা ছিল আদম (আঃ)-এর নিষেধ উপেক্ষা করে তার আগেই ফল ভক্ষণ করা।
আবার কেউ কেউ বলেনঃ আদম (আঃ) নিজেই হাওয়া (আঃ)-কে বৃক্ষ কর্তনের উদ্দেশে প্রেরণ করেন এবং তিনি (হাওয়া (আঃ)) উক্ত গাছের দু’টি শাস কর্তন করেন। আর এটিই হলো হাওয়া (আঃ)-এর খিয়ানাতের ধরণ প্রকৃতি। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৩৩০; শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৪৭০; মিরকাতুল মাফাতীহ)