লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (গোলামদের স্বাধীনতা প্রদান)
৩২০০-[৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার অধীনে পরস্পর দু’জন দাস-দাসী দম্পতিকে মুক্ত করার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জানতে চান। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ করলেন নারীর পূর্বে পুরুষকে মুক্ত করার। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]
عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَعْتِقَ مَمْلُوكَيْنِ لَهَا زَوْجٌ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهَا أَنْ تَبْدَأَ بِالرَّجُلِ قَبْلَ الْمَرْأَةِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর মালিকানায় যে দু’জন দাস-দাসী ছিল তারা ছিল পরস্পর স্বামী-স্ত্রী। তাদের উভয়কে আযাদ করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরণাপন্ন হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের পুরুষজনকে আগে আযাদ করার নির্দেশ দেন। যাতে মহিলাটি অর্থাৎ দাসী স্ত্রীটি স্বাধীনা হওয়ার পর তার দাস স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলার সুযোগ না পায়। মুল্লা ‘আলী কারী বলেন, পুরুষের কথা আগে বলা হয়েছে এজন্য যে, সে পূর্ণ এবং উত্তম ব্যক্তি। অথবা কোনো নারীর স্বামী হবে গোলাম বা দাস এটা হবে নারীর জন্য ভীষণ লজ্জাজনক, তাই আগে পুরুষকে মুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২২৩৪; মিরকাতুল মাফাতীহ)