৩০৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)

৩০৫৯-[১৯] হুযায়ল ইবনু শুরাহ্বীল (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ)-কে কন্যা, পুত্রের কন্যা ও ভগ্নি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কন্যার অর্ধেক ও ভগ্নির অর্ধেক। তবে একবার ইবনু মাস্’ঊদ -কে জিজ্ঞেস কর, আশা করা যায় তিনিও আমার অনুরূপ বলবেন। ইবনু মাস্’ঊদ -কে জিজ্ঞেস করা হলো এবং তাকে আবূ মূসার উত্তরও জানানো হলো। তিনি বললেন, তবে তো আমি পথভ্রষ্ট হবো এবং সুপথপ্রাপ্তদের অন্তর্গত হব না। আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব, যে সিদ্ধান্ত স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছিলেন, তা হলো- কন্যার অর্ধেক এবং পুত্রের কন্যার এক-ষষ্ঠাংশ, দুই-তৃতীয়াংশ পূর্ণ করার উদ্দেশে। আর অবশিষ্ট যা থাকবে, তা (এক-তৃতীয়াংশ) ভগ্নির। রাবী বলেন, অতঃপর আমরা আবূ মূসা -এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে ইবনু মাস্’ঊদ-এর উত্তর জানালাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করো না তোমাদের মধ্যে যতক্ষণ এ মহাপণ্ডিত বিদ্যমান আছেন। (বুখারী)[1]

وَعَنْ هُزَيْلِ بْنِ شُرَحْبِيلَ قَالَ: سُئِلَ أَبُو مُوسَى عَنِ ابْنَةٍ وَبِنْتِ ابْنٍ وَأُخْتٍ فَقَالَ: للْبِنْت النّصْف وَللْأُخْت النّصْف وائت ابْنَ مَسْعُودٍ فَسَيُتَابِعُنِي فَسُئِلَ ابْنُ مَسْعُودٍ وَأُخْبِرَ بقول أبي مُوسَى فَقَالَ: لقد ضللت إِذن وَمَا أَنَا مِنَ الْمُهْتَدِينَ أَقْضِي فِيهَا بِمَا قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِلْبِنْتِ النِّصْفُ وَلِابْنَةِ الِابْنِ السُّدُسُ تَكْمِلَةَ الثُّلُثَيْنِ وَمَا بَقِيَ فَلِلْأُخْتِ» فَأَتَيْنَا أَبَا مُوسَى فَأَخْبَرْنَاهُ بِقَوْلِ ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ: لَا تَسْأَلُونِي مَا دَامَ هَذَا الحبر فِيكُم. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদীসে একটি বণ্টননীতি আলোচিত হয়েছে। আবূ মূসা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল- ‘‘কোনো ব্যক্তি যদি এক কন্যা, এক পৌত্রী এবং এক বোন রেখে মারা যান- তাদের মাঝে কিভাবে সম্পদ বণ্টন করা হবে। তখন আবূ মূসা বলেন- এক কন্যা পাবে অর্ধাংশ, এটা ছিল আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে। আর কন্যা যদি একজন হয়, তাহলে তার জন্যে রয়েছে অর্ধাংশ’’। (সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৭৬)

উক্ত আয়াতে ‘‘ওয়ালাদ’’ অর্থ সন্তান এতে নর-নারী উভয়েই অন্তর্ভুক্ত। সম্ভবত আবূ মূসা এ বিষয়ে অমনোযোগী ছিলেন। অথবা তিনি ‘‘ওয়ালাদ’’ দ্বারা শুধু পুরুষকেই বুঝতে পেরেছিলেন। অথবা আসাবা হিসেবে বোনের অর্ধাংশের কথা বুঝিয়েছেন।

অতঃপর এই মাসআলায় ইবনু মাস্‘ঊদকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেন- এক কন্যা পাবে অর্ধাংশ এবং পৌত্রী পাবে এক-ষষ্ঠাংশ (আর এটা হলো কন্যা ও পৌত্রীর অংশ দুই-তৃতীয়াংশ পূর্ণ করার জন্যে) ও অবশিষ্ট সম্পদ বোন আসাবা হিসেবে পাবে। এভাবেই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বণ্টন করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৭৩৬; মিরকাতুল মাফাতীহ)