লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৫৬-[১৯] আবূ উমামাহ্ আল বাহিলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ঋণের জিনিস ফেরত দিতে হবে। উপকারের স্বার্থে প্রাপ্ত জিনিস ফেরত দিতে হবে (অর্থাৎ- তিনি ঋণী)। ঋণ শোধ করতে হবে এবং জামিনদারকে দণ্ড দিতে হবে। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ وَالْمِنْحَةٌ مَرْدُودَةٌ وَالدَّيْنُ مَقْضِيٌّ وَالزَّعِيمُ غَارِمٌ» . رَوَاهُ النرمذي وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (الْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ) তূরিবিশতী বলেনঃ অর্থাৎ- ‘আরিয়াহ্ (ধারে নেয়া বস্তু) তার মালিকের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে হবে। ব্যাখ্যাকারগণ যিম্মাদারিত্বের ক্ষেত্রে তাদের মতানৈক্য অনুযায়ী এর ব্যাখ্যাকরণেও তারা মতানৈক্য করেছেন। যারা ‘আরিয়াহ্-এর বস্তু ধারগ্রহণকারী তার যিম্মাদার তারা বলেন, বস্তু বিদ্যমান থাকলে হুবহু তা আদায় করবে, আর বিনষ্ট হয়ে গেলে মূল্য আদায় করবে। যে এর বিপরীত মনে করে তার কাছে আদায় করার উপকারিতা হলো মালিকের নিকট সামগ্রী ফিরিয়ে দেয়ার ব্যয়ভার ‘আরিয়াহ্ গ্রহণকারীর ওপর আবশ্যক করে দেয়া।
(الْمِنْحَةُ) ‘মিন্হাহ্’ অর্থাৎ- ব্যক্তি তার সাথীকে যা দান করে, অর্থাৎ- দুধ পান করার জন্য দুগ্ধবর্তী প্রাণী হতে অথবা ফল খাওয়ার জন্য বৃক্ষ হতে অথবা ফসল ফলানোর জন্য জমিন হতে তাকে যা দান করে। (مَرْدُودَةٌ) ‘মারদূদাহ্’ দ্বারা উপকার লাভের মালিক হয়, বস্তুর মালিক হয় না, তাই তা ফেরত দিতে হবে। (غَارِمٌ) ‘আ-রিম’ অর্থাৎ- সে যার যিম্মাদারী গ্রহণ করেছে তা তার নিজের ওপর আবশ্যক করে নিয়েছে। অর্থাৎ- যিম্মাদার যে ঋণের যিম্মাদারী গ্রহণ করেছে তা আদায় করা তার জন্য আবশ্যক।
(তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২১২০; মিরকাতুল মাফাতীহ)