২৯৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ

২৯৪৮-[১১] সায়িব ইবনু ইয়াযীদ তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের লাঠি হাসি-কৌতুকচ্ছলে রেখে দেয়ার উদ্দেশে কেড়ে না নেয়। যদি কেউ তার ভাইয়ের লাঠি কেড়ে নেয়, তবে সে যেন তা তাকে ফেরত দেয়। (তিরমিযী; আর আবূ দাঊদে ’রেখে দেয়ার জন্য’ পর্যন্ত)[1]

يزِيد عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَأْخُذُ أَحَدُكُمْ عَصَا أَخِيهِ لَاعِبًا جَادًّا فَمَنْ أَخَذَ عَصَا أَخِيهِ فَلْيَرُدَّهَا إِلَيْهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَرِوَايَتُهُ إِلَى قَوْله: «جادا»

ব্যাখ্যা: খত্ত্বাবী বলেনঃ (لَاعِبًا جَادًّا) এর অর্থ হলো ঠাট্টাচ্ছলে গ্রহণ করার পর তা পুনরায় ফিরিয়ে না দেয়া। এতে তা স্বেচ্ছায় গ্রহণের পর্যায়ে চলে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে (لَاعِبًا جَادًّا) গ্রহণ করার কারণ হলো সেটা চুরি। খেলাচ্ছলে গ্রহণ করতে নিষেধ করার কারণ হলো, তাতে কোনো উপকার নেই, বরং আমুদে সঙ্গীর উপর ক্রোধ ও কষ্ট দেয়ার কারণ হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৯৯৫)

শারহুস্ সুন্নাহ্তে আবূ ‘উবায়দ থেকে আছে- এর অর্থ হলো ব্যক্তির পণ্য সামগ্রীকে গ্রহণ করবে চুরির উদ্দেশে নয় বরং তাকে রাগান্বিত করতে। সুতরাং চুরি করার ক্ষেত্রে খেলাচ্ছলে তা করে আর প্রকৃতপক্ষে তাকে কষ্ট দেয়া ও রাগান্বিত করার কাজটা ইচ্ছা করেই করে। প্রথমটিকে (فَمَنْ أَخَذَ عَصَا أَخِيهِ فَلْيَرُدَّهَا إِلَيْهِ) অর্থাৎ- ‘‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের লাঠি নিয়েছে সে যেন তা তার কাছে ফেরত দেয়’’ এ উক্তিটুকু সমর্থন করছে।

তূরিবিশতী (রহঃ) বলেনঃ কেবল লাঠি দ্বারা উপমা উপস্থাপন করা হয়েছে। কেননা তা তুচ্ছ জিনিসের অন্তর্ভুক্ত যার কারণে মালিকের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হয় না। তথাপিও তা দ্বারা উপমা উপস্থাপন করার কারণ ঐ কথা বুঝিয়ে দেয়া যে, কারো কাছ থেকে ছোট বস্তু নেয়ার পর তা ফিরিয়ে দেয়া আবশ্যক হলে তার অপেক্ষা বড় বস্তু ফিরিয়ে দেয়ার আরও বেশি প্রাধান্য পাবে এবং তা আরও উল্লেখযোগ্য। (মিরকাতুল মাফাতীহ)