২৮৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়

২৮৩৭-[৪] সাহল ইবনু আবূ হাসমাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্তুতকৃত খুরমার বিনিময়ে (গাছে বিদ্যমান রেখে) খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবশ্য ’আরা-ইয়া বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। ’আরা-ইয়া’র ফলকেই অনুমান করে বিক্রি করে সেই অনুমান অনুযায়ী খুরমা দিবে। ’আরা-ইয়া’র ফল ক্রেতা তা পাকা ও তাজা অবস্থায় খাবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْمَنْهِىِّ عَنْهَا مِنَ الْبُيُوْعِ

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَن بيعِ التمْر بالتمْرِ إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرِيَّةِ أَنْ تُبَاعَ بِخَرْصِهَا تَمْرًا يَأْكُلُهَا أَهْلُهَا رُطَبًا

ব্যাখ্যা: জুমহূর ‘উলামাগণের মতে আল ‘আরিয়্যাহ্ হলো মালিক কর্তৃক খেজুর বাগানের মধ্য হতে কয়েকটি খেজুর গাছ অন্যকে ফল খাওয়ার জন্য দান করাকে ‘আরা-ইয়া বলা হয়। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এটি শারী‘আতসম্মত। কারণ ‘আরা-ইয়া মুযাবানাহ্ হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথায় খুরমার বিনিময়ে ফল বিক্রি করাকে মুযাবানাহ্ বলা হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ- ৬/৭২ পৃঃ)

সহীহুল বুখারীর অন্য বর্ণনায় রয়েছে, (رخص لهم فى بيع العرايا) আর সেখানে ইয়াহ্ইয়া বিন সা‘ঈদ ও আহলে মক্কা (ইবনু ‘উয়াইনাহ্)-এর বর্ণনার মাঝে কিছু ভিন্নতা দেখা যায়। ইয়াহ্ইয়া বিন সা‘ঈদ-এর বর্ণনায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘আরা-ইয়া ধরনের কেনা-বেচাকে অনুমানের মাধ্যমে এবং মালিকের ভক্ষণ করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট করেছেন। (যেমন পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে) কিন্তু ইবনু ‘উয়াইনাহ্ -এর বর্ণনায় (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘আরা-ইয়া কেনা-বেচায় মুত্বলাকভাবে (শর্তহীনভাবে) অনুমোদন দিয়েছেন। কোনো নির্দিষ্ট করেননি।

হাফিয ইবনু হাজার ‘আসকালানী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু ‘উয়াইনাহ্-এর বর্ণনাটি উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ, যা তিনি ইবনু জুরায়জ থেকে বর্ণনা করেছেন, ইবনু জুরায়জ ‘আত্বা থেকে, আর ‘আত্বা বর্ণনা করেছেন জাবির (রাঃ) থেকে। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৪৪৮)