২৭৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা

২৭৫৯-[১] মিকদাদ বিন মা’দীকারিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কারো জন্য নিজের হাতের (কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে) উপার্জনের আহারের চেয়ে আর কোনো উত্তম আহার নেই (অর্থাৎ- কোনো ব্যক্তি কখনো উত্তম খাদ্য খায়নি হাতের উপার্জনের খাদ্যের চেয়ে)। আল্লাহর নবী দাঊদ (আঃ) নিজের হাতের উপার্জনে আহার করতেন। (বুখারী)[1]

بَابُ الْكَسْبِ وَطَلَبِ الْحَلَالِ

عَن الْمِقْدَاد بْنِ مَعْدِي كَرِبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَكَلَ أَحَدٌ طَعَامًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ أَنْ يَأْكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ وَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عمل يَدَيْهِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: (خَيْرًا) অর্থাৎ উত্তম খাদ্য। (مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ) স্বহস্তে উপার্জন। মুযহির বলেন, স্বহস্তে উপার্জনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে উপার্জনকারী কর্মে ব্যস্ত থাকার ফলে নিজেকে অন্যায় ও অনর্থক কাজ হতে বিরত রাখতে সক্ষম হয়। অন্যের নিকট হাত পাতার যিল্লাতি থেকে রক্ষা পায় এবং অহংকার হতে মুক্তি পায়। তবে উপার্জনকারীকে এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, কর্মই তার রিযক্বের ব্যবস্থাপক নয় বরং রিযকের ব্যবস্থাপক মহান রিযকদাতা আল্লাহ তা‘আলা। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(وَإِنَّ نَبِىَّ اللّٰهِ دَاودَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ) নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার নাবী দাঊদ (আঃ) স্বহস্তে উপার্জন করে খেতেন। নাবূওয়াত আল্লাহ প্রদত্ত মহান মর্যাদা। এত সুমর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজে উপার্জন করে স্বীয় ব্যয় নির্বাহ করতেন। এ দ্বারা স্বহস্তে উপার্জনের উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, স্বহস্তে উপার্জন সম্মানহানীর বিষয় নয় বরং তা সুমর্যাদার অধিষ্ঠিত নাবীদের সুন্নাত। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২০৭২)