লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ কোন ভাল জিনিসের সুসংবাদ ও তার জন্য মুবারকবাদ জানানো মুস্তাহাব
(৩৪৩১)আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চারিপাশে বসেছিলাম। আমাদের সাথে আবূ বকর ও উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) তথা অন্যান্য সাহাবীগণও ছিলেন। ইত্যবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝ থেকে উঠে (বাইরে) চলে গেলেন। যখন তিনি ফিরে আসতে দেরি ক’রে দিলেন, তখন আমাদের আশংকা হল যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে তিনি (শত্রু) কবলিত না হন। এ দুশ্চিন্তায় আমরা ঘাবড়ে গেলাম এবং উঠে পড়লাম। তাঁদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সুতরাং আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত আমি আনসারদের বনূ নাজ্জারের একটি বাগানে পৌঁছে তার চতুর্দিকে ঘুরতে লাগলাম, যদি কোন (প্রবেশ) দরজা পাই। কিন্তু তার কোন (প্রবেশ) দরজা পেলাম না। হঠাৎ দেখলাম বাইরের একটি কুয়া থেকে সরু নালা ঐ বাগানের ভিতরে চলে গেছে। আমি সেখান দিয়ে জড়সড় হয়ে বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। (দেখলাম,) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে উপস্থিত।
তিনি বলে উঠলেন, ’’আবূ হুরাইরা?’’ আমি বললাম, ’জী হ্যাঁ, হে আল্লাহ রসূল!’ তিনি বললেন, ’’কী ব্যাপার তোমার?’’ আমি বললাম, ’আপনি আমাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অকষ্মাৎ উঠে বাইরে এলেন। তারপর আপনার ফিরতে দেরি দেখে আমরা এই দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে হয়তো আপনি (শত্রু) কবলিত হয়ে পড়বেন। যার ফলে আমরা সকলে ঘাবড়ে উঠলাম। সর্বপ্রথম আমিই বিচলিত হয়ে উঠে এই বাগানে এসে জড়সড় হয়ে শিয়ালের মত ঢুকে পড়লাম। আর সব লোক আমার পিছনে আসছে।’ তিনি আমাকে সম্বোধন ক’রে তাঁর জুতা জোড়া দিয়ে বললেন, ’’আবূ হুরাইরা! আমার এ জুতো জোড়া সঙ্গে নিয়ে যাও এবং এ বাগানের বাইরে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পাঠকারী যে কোন ব্যক্তির সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে, তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।’’ অতঃপর সুদীর্ঘ হাদীস তিনি বর্ণনা করেছেন।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : كُنَّا قُعُوداً حَوْلَ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَمَعَنَا أَبُو بَكرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا في نَفَرٍ فَقَامَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مِنْ بَيْنِ أظْهُرِنَا فَأبْطَأَ عَلَيْنَا وَخَشِينَا أنْ يُقْتَطَعَ دُونَنَا وَفَزِعْنَا فَقُمْنَا فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ فَزِعَ فَخَرَجْتُ أبْتَغِي رَسُوْلَ اللهِ ﷺ حَتّٰـى أتَيْتُ حَائِطاً لِلأَنصَارِ لِبَني النَّجَارِ فَدُرْتُ بِهِ هَلْ أجِدُ لَهُ بَاباً ؟ فَلَمْ أجِدْ فَإذَا رَبِيعٌ يَدْخُلُ في جَوْفِ حَائِطٍ مِنْ بِئْرٍ خَارِجَهُ ـ وَالرَّبِيعُ : الجَدْوَلُ الصَّغِيرُ ـ فَاحْتَفَرْتُ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلتُ : نَعَمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ مَا شأنُكَ ؟ قُلْتُ : كُنْتَ بَيْنَ أظْهُرِنَا فَقُمْتَ فَأبْطَأتَ عَلَيْنَا فَخَشِينَا أنْ تُقْتَطَعَ دُونَنَا فَفَزِعْنَا فَكُنْتُ أوّلَ مَنْ فَزِعَ فَأتَيْتُ هَذَا الحَائِطَ فَاحْتَفَرْتُ كَمَا يَحْتَفِرُ الثَّعْلَبُ وَهَؤُلاَءِ النَّاسُ وَرَائِي فَقَالَ يَا أَبَا هُرَيرَةَ وَأعْطَانِي نَعْلَيْهِ فَقَالَ اذْهَبْ بِنَعْلَيَّ هَاتَيْنِ فَمَنْ لَقِيتَ مِنْ وَرَاءِ هَذَا الحَائِطِ يَشْهَدُ أنْ لاَ إلَهَ إِلاَّ اللهُ مُسْتَيْقِنَاً بِهَا قَلْبُهُ فَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ وَذَكَرَ الحديثَ بطوله رواه مسلم