২৯৩৭

পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব

(২৯৩৭) উবাদাহ বিন স্বামেত বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীতে সওয়ার হয়ে কোথাও বের হলেন। সঙ্গে ও সম্মুখে ছিলেন তার সাহাবীবৃন্দ। মুআয বিন জাবাল (রাঃ) তাঁর উদ্দেশ্যে বল্লেন, ’হে আল্লাহর নবী! খুশী মনে আমাকে অগ্রণী হয়ে বলতে অনুমতি দেবেন কি?’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ।’’ অতঃপর মুআয তাঁর নিকটবর্তী হলেন। সকলে চলতে শুরু করলে মুআয বললেন, ’আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক - আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, আপনার থেকে আমাদের (মৃত্যুর) দিন আগে করুন। যদি কিছু হয়ে যায়, আর ইনশাআল্লাহ কিছু হবে না। আপনার পরে আমরা কোন্ কর্মগুলি করব?’ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব থাকলেন। মুআয বললেন, ’আল্লাহর পথে জিহাদ?’ অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’জিহাদ খুব উত্তম জিনিস। কিন্তু এর চেয়ে সহজ জিনিস আছে।’’

মুআয বললেন, ’তাহলে রোযা ও সদকাহ?’ বললেন, রোযা ও সদকাহ উত্তম জিনিস। অতঃপর মুআয মানুষের প্রায় সকল সৎকর্মের কথা উল্লেখ করলেন। কিন্তু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার বারই বললেন, এর চেয়েও উত্তম কর্ম আছে। অবশেষে মুআয বললেন, ’আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, এর চেয়ে উত্তম আর আছে কি?’ তদুত্তরে তিনি নিজ মুখের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, মঙ্গল ব্যতীত অন্য বিষয়ে চুপ থাকা। মুআয বললেন, ’আমরা জিবে যে কথা বলি, তাতেও কি আমাদেরকে কৈফিয়ত করা হবে?’ তা শুনে তিনি মুআযের জানুতে চপেটাঘাত করে বললেন, হে মুআয! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষের জিভে বলা কথা ছাড়া অন্য কিছু কি তাদেরকে নাক ছেঁচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে? সুতরাং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী ব্যক্তির উচিত। উত্তম কথা বলা নতুবা মন্দ বলা হতে চুপ থাকা। তোমরা উত্তম বল, লাভবান হবে এবং মন্দ বলা হতে চুপ থাকো, নিরাপত্তা লাভ করবে।

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَصْحَابُهُ مَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَتَأْذَنُ لِي فِي أَنْ أَتَقَدَّمَ إِلَيْكَ عَلَى طِيبَةِ نَفْسٍ؟ قَالَ: نَعَمْ فَاقْتَرَبَ مُعَاذٌ إِلَيْهِ فَسَارَا جَمِيعًا، فَقَالَ مُعَاذٌ: بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْ يَجْعَلَ يَوْمَنَا قَبْلَ يَوْمِكَ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ شَيْءٌ وَلَا نَرَى شَيْئًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى فَأَيُّ الْأَعْمَالِ نَعْمَلَهَا بَعْدَكَ؟ فَصَمَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نِعْمَ الشَّيْءُ الْجِهَادُ، وَالَّذِي بِالنَّاسِ أَمْلَكُ مِنْ ذٰلِكَ فَالصِّيَامُ وَالصَّدَقَةُ قَالَ: نِعْمَ الشَّيْءُ الصِّيَامُ وَالصَّدَقَةُ» فَذَكَرَ مُعَاذٌ كُلَّ خَيْرٍ يَعْمَلُهُ ابْنُ آدَمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَعَادِ بِالنَّاسِ خَيْرٌ مِنْ ذٰلِكَ» قَالَ: فَمَاذَا بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي عَادِ بِالنَّاسِ خَيْرٌ مِنْ ذٰلِكَ؟ قَالَ: فَأَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى فِيهِ قَالَ: الصَّمْتُ إِلَّا مِنْ خَيْرٍ قَالَ: وَهَلْ نُؤَاخَذُ بِمَا تَكَلَّمَتْ بِهِ أَلْسِنَتُنَا؟ قَالَ: فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخِذَ مُعَاذٍ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُعَاذُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ - أَوْ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ لَهُ مِنْ ذٰلِكَ - وَهَلْ يُكَبَّ النَّاسِ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ فِي جَهَنَّمَ إِلَّا مَا نَطَقَتْ بِهِ أَلْسِنَتُهُمْ فَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَسْكُتْ عَنْ شَرٍّ، قُولُوا خَيْرًا تَغْنَمُوا وَاسْكُتُوا عَنْ شَرٍّ تَسْلَمُوا هٰذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ