১৬৭৬

পরিচ্ছেদঃ মদ্যপান

(১৬৭৬) উসমান বিন আফফান (রাঃ) বলেছেন, ’’তোমরা মদ থেকে দূরে থাকো। কারণ তা হল সকল নোংরা কাজের প্রধান। তোমাদের পূর্বযুগে একটি লোক ছিল, যে সর্বদা আল্লাহর ইবাদত করত এবং লোকজন থেকে দূরে থাকত। এক ভ্রষ্ট মেয়ে তাকে ভালোবেসে ফেলল। সে এক সময় তার দাসী দ্বারা কোন ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়ার নাম ক’রে তাকে ডেকে পাঠাল। সে দাসীর সাথে এসে তার বাড়িতে প্রবেশ করল। এক একটা দরজা পার হতে তা বন্ধ করা হল। অবশেষে এক সুন্দরী মহিলার নিকট পৌঁছল। তার সাথে ছিল একটি কিশোর ও মদের পাত্র।

মেয়েটি বলল, ’আমি আসলে তোমাকে কোন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠাইনি। আমি তোমাকে ডেকেছি আমার সাথে মিলন করার জন্য অথবা এই কিশোরকে খুন করার জন্য অথবা এই মদ পান করার জন্য। তাতে যদি তুমি অস্বীকার কর, তাহলে আমি চিৎকার ক’রে তোমার নামে অপবাদ দিয়ে তোমাকে লাঞ্ছিত করব।’

সুতরাং সে যখন নিরুপায় অবস্থা দেখল, তখন মদপানকে হালকা মনে করল। বলল, ’ঠিক আছে, আমাকে এক গ্লাস মদ দাও।’ সে তা পান করল। কিন্তু সে দ্বিতীয় গ্লাস চাইল। অতঃপর নেশায় চুর হলে সে মেয়েটির সাথে ব্যভিচার করল এবং সবশেষে কিশোরটিকেও খুন ক’রে বসল।

সুতরাং তোমরা মদপান থেকে দূরে থাকো। যেহেতু বান্দার মধ্যে মদ ও ঈমান কখনই একত্র হতে পারে না। আর হলে অদূর ভবিষ্যতে একটি তার সঙ্গীকে বহিষ্কার ক’রে দেয়।

عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ اجْتَنِبُوا الخ مْرَ فَإنَّهَا أُمُ الْخَبَائِثِ إِنَّهُ كاَنَ رَجُلٌ مِمَّن خَلَا قَبْلَكُمْ يَتَعَبَّدُ فَعَلِقَتْهُ اِمْرَأة أَغوَتْهُ فَأرسَلَتْ إليْهِ جَارِيَتُهَا فقَالَتْ لَهُ : إِنَّهَا تَدْعُوكَ لِلشَّهَادَةِ فَانْطَلَقَ مَعَ جَارِيَتِهَا فَطَفِقَ كُلَّمَا دَخَلَ بَابًا أَغْلَقَتْهُ دُونَهُ حَتَّى أَفْضَى إِلَى اِمْرَأَةٍ وَضِيْئَةٍ عِنْدَهَا غُلَامٌ وَبَاطِيَةُ خمْرٍ فَقَالَتْ: وَاللهِ مَا دَعَوْتُكَ لِلشَّهَادَةِ وَلَكِنْ دَعَوْتُكَ لِتَقَعَ عليَّ أَوْ تَشرَبَ مِنْ هَذِهِ الْخَمْرِ كَأسًا أو تَقْتُلَ هَذَا الغُلاَمَ قَالَ : فَاسْقِيْنِيْ مِنْ هَذِهِ الخَمْرِ كَأسًا فسَقَتْهُ كَأْسًا فَقَالَ: زَيْدُوْنِي فَلَمْ يَرِم حَتَّى وَقَعَ عَلَيْهَا وَقَتَلَ الْغُلَامُ فَاجْتَنِبُوْ الخَمْرَ فَإِنَّهَا وَاللهِ لَا يَجْتَمِعُ الْإِيْمَانُ وَإِدمان الخَمْرُ إِلَّا ويُوشِكُ أَنْ يُخْرِجَ أحدُهُمَا صَاحِبَهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উসমান ইবন আফফান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ