লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা হারাম তবে স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করবে
(১৩৪৫) যয়নাব বিনতে আবূ সালামাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন শাম (সিরিয়া) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা (রাঃ)র পিতা আবূ সুফয়ান (রাঃ) এর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছল, তখন আমি তাঁর বাসায় প্রবেশ করলাম। (মৃত্যুর তিনদিন পর) তিনি হলুদ বর্ণ দ্রব্য বা অন্য দ্রব্য মিশ্রিত সুগন্ধি আনালেন। তা থেকে কিছু নিয়ে স্বীয় দাসীকে এবং নিজের দুই গালে মাখলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধির কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর (খুতবাদান কালে) এ কথা বলতে শুনেছি যে, যে স্ত্রীলোক আল্লাহ ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে স্বামী ছাড়া অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা জায়েয নয়। অবশ্য তার স্বামীর জন্য সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
যয়নাব বলেন, তারপর যখন যয়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ)র ভাই মারা গেলেন, তখন আমি তাঁর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি সুগন্ধি আনালেন এবং তা থেকে কিছু নিয়ে মাখার পর বললেন; আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধির কোন প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বরের উপর (খুতবা দানকালে) এ কথা বলতে শুনেছি যে, যে স্ত্রীলোক আল্লাহ ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে স্বামী ছাড়া অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা জায়েয নয়। অবশ্য তার স্বামীর জন্য সে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে।
(শোকপালনে মহিলা, সৌন্দর্যময় কাপড় পরবে না, কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার করবে না, কোন অলঙ্কার ব্যবহার করবে না, কোন প্রসাধন (পাউডার, সুরমা, কাজল, লিপষ্টিক ইত্যাদি) ব্যবহার করবে না এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবে না।)
عَنْ زَينَبَ بِنتِ أَبِي سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَتْ : دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا زَوجِ النَّبِيِّ ﷺ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أبُو سُفْيَانَ بنُ حَربٍ فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةُ خَلُوقٍ أَوْ غَيرِهِ فَدَهَنَتْ مِنهُ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ : واللهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يقُولُ عَلَى المِنْبَرِ لاَ يَحِلُّ ِلامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ علَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْراً قالَتْ زَيْنَبُ : ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بنْتِ جَحْشٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ : أَمَا وَاللهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيرَ أنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يقُولُ عَلَى المِنْبَرِ لاَ يَحِلُّ لامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ علَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْراً متفق عليه