লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ কবরের সম্মান
(১২৬০) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ’ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি অলফাত্হ’ অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক নামাযে অবশ্যই এই (দু’আ) পড়তেন ’সুবহানাকা রাব্বানা অবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী’ (অর্থাৎ হে আমাদের প্রভু! আমরা তোমার প্রশংসায় তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর। (বুখারী ৪৯৬৭, মুসলিম ১১১৫)
সহীহায়নের তাঁর অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রুকু ও সাজদায় অধিকাধিক ’সুবহানাকাল্লাহুম্মা রাব্বানা অবিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলী’ পড়তেন। তিনি কুরআনের হুকুম তামিল করতেন। অর্থাৎ এই দু’আ পড়ে তিনি কুরআনে বর্ণিত ’(হে নবী) তুমি তোমার প্রভুর প্রশংসায় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও।’ আল্লাহর এই আদেশ পালন করতেন। (বুখারী ৮১৭, ৪৯৬৮, মুসলিম ১১১৩)
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুর পূর্বে অধিক পরিমাণে (এই দু’আ) পড়তেন, ’সুবহানাকা আল্লাহুম্মা অবিহামদিকা আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলায়ক।’ আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এই শব্দগুলো কি, যেগুলোকে আমি আপনাকে নতুন করে পড়তে দেখছি?’ তিনি বললেন, আমার জন্য আমার উম্মতের মধ্যে একটি চিহ্ন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যখন আমি তা দেখব তখন এটি পড়ব। (চিহ্নটি হল) ’ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি অলফাত্হ---- শেষ সূরা পর্যন্ত। (মুসলিম ১১১৪)
মুসলিমের আর একটি বর্ণনায় আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ’ (দু’আটি) বেশী বেশী পড়তেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে বেশী বেশী ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ’ (দু’আটি) পড়তে দেখছি (কী ব্যাপার)? তিনি বললেন, আমার প্রভু আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, আমি শীঘ্রই আমার উম্মতের মধ্যে একটি চিহ্ন দেখব। সুতরাং আমি যখন তা দেখব, তখন ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ’ (দু’আটি) বেশী বেশী পড়ব। এখন আমি তা দেখে নিয়েছি, ’ইযা জা-আ নাসরুল্লাহি অলফাত্হ।’ যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। অর্থাৎ, মক্কাবিজয়। আর তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি অধিক তওবা গ্রহণকারী। (মুসলিম ১১১৬)
عَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَتْ : مَا صَلّى رَسُولُ اللهِ ﷺ صَلاةً بَعْدَ أَنْ نَزَلتْ عَلَيهِ : إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ: إلاَّ يَقُولُ فِيهَا سُبحَانَكَ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لي مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وَفِيْ رِوَايَةٍ في الصَّحِيحَينِ عَنهَا : كَانَ رَسُولُ الله ﷺ يُكْثِرُ أنْ يقُولَ في رُكُوعِه وسُجُودهِ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي يَتَأوَّلُ القُرآنَ معنى يَتَأَوَّلُ القُرآنَ أي يعمل مَا أُمِرَ بِهِ في القرآن في قوله تَعَالَى فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ وَفِيْ رِوَايَةٍ لمسلم : كَانَ رَسُول الله ﷺ يُكثِرُ أنْ يَقُولَ قَبلَ أنْ يَمُوتَسُبحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمدِكَ أسْتَغْفِرُكَ وَأتُوبُ إلَيْكَ قَالَتْ عائشة : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ مَا هذِهِ الكَلِماتُ الَّتي أرَاكَ أحْدَثْتَها تَقُولُهَا ؟ قَالَ جُعِلَتْ لي عَلامَةٌ في أُمَّتِي إِذَا رَأيْتُها قُلتُها -إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ- إِلَى آخِرِ السورة وَفِيْ رِوَايَةٍ لَهُ : كَانَ رسولُ الله ﷺ يُكثِرُ مِنْ قَولِ سبْحَانَ اللهِ وَبِحَمدِهِ أسْتَغفِرُ اللهَ وأتُوبُ إِلَيْهِ قَالَتْ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ أَراكَ تُكثِرُ مِنْ قَولِ سُبحَانَ اللهِ وَبِحَمدهِ أسْتَغْفِرُ اللهَ وأتُوبُ إِلَيْه ؟ فَقَالَ أخبَرَني رَبِّي أنِّي سَأرَى عَلامَةً في أُمَّتي فإذا رَأيْتُها أكْثَرْتُ مِنْ قَولِ : سُبْحَانَ اللهِ وبِحَمدهِ أسْتَغْفرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْه فَقَدْ رَأَيْتُهَا: إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ: فتح مكّة- وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللهِ أَفْوَاجاً فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّاباً