লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত
(২৬২) আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মদীনার কালো পাথুরে যমীনে হাঁটছিলাম। উহুদ পাহাড় আমাদের সামনে পড়ল। তিনি বললেন, হে আবূ যার্র! এতে আমি খুশী নই যে, আমার নিকট এই উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ থাকবে, এ অবস্থায় তিনদিন অতিবাহিত হবে অথচ তার মধ্য হতে একটি দীনারও আমার কাছে অবশিষ্ট থাকবে। অবশ্য তা থাকবে যা আমি ঋণ আদায়ের জন্য বাকী রাখব অথবা আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এইভাবে এইভাবে এইভাবে ডানে, বামে ও পিছনে খরচ করব।
অতঃপর (কিছু আগে) চলে তিনি বললেন, প্রাচুর্যের অধিকারীরাই কিয়ামতের দিন নিঃস্ব হবে। অবশ্য সে নয় যে সম্পদকে (ফোয়ারার মত) এইভাবে এইভাবে এইভাবে ডানে, বামে ও পিছনে ব্যয় করে। কিন্তু এ রকম লোকের সংখ্যা নেহাতই কম।
তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি এখানে বসে থাক, যতক্ষণ না আমি তোমার কাছে (ফিরে) এসেছি। এরপর তিনি রাতের অন্ধকারে চলতে লাগলেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। হঠাৎ আমি এক জোর শব্দ শুনলাম। আমি ভয় পেলাম যে, কোন শত্রু হয়তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পড়েছে। সুতরাং আমি তাঁর নিকট যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, কিন্তু তাঁর কথা আমার স্মরণ হল, তুমি এখানে বসে থাক, যতক্ষণ না আমি তোমার কাছে (ফিরে) এসেছি।
সুতরাং আমি তাঁর ফিরে না আসা পর্যন্ত বসে থাকলাম। (তিনি ফিরে এলে) আমি বললাম, ’আমি এক জোর শব্দ শুনলাম, যাতে আমি ভয় পেলাম।’ সুতরাং যা শুনলাম আমি তা তাঁর কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, তুমি শব্দ শুনেছিলে? আমি বললাম, ’জী হ্যাঁ!’ তিনি বললেন, তিনি জিবরীল ছিলেন। তিনি আমার কাছে এসে বললেন, ’আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে মরবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ আমি বললাম, ’যদিও সে ব্যভিচার করে ও চুরি করে তবুও কি? তিনি বললেন, ’যদিও সে ব্যভিচার করে ও চুরি করে।
وَعَنْ أَبيْ ذَرٍّ قَالَ : كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبي ﷺ فِي حَرَّةٍ بِالمَدِينَةِ فَاسْتَقْبَلَنَا أُحُدٌ فقَالَ يَا أَبَا ذَرٍّ قُلتُ : لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ مَا يَسُرُّنِي أنَّ عَندِي مِثْلَ أُحُدٍ هَذَا ذَهَباً تَمْضِي عَلَيَّ ثَلاَثَةُ أيّامٍ وَعَندِي مِنْهُ دِينَارٌ إِلاَّ شَيْءٌ أرْصُدُهُ لِدَيْنٍ إِلاَّ أنْ أقُولَ بِهِ في عِبَادِ الله هَكَذَا وَهَكَذَا وَهكَذَا عَن يَمِينِهِ وَعَن شِمَالِهِ وَمِنْ خَلْفِهِ ثُمَّ سَارَ فَقَالَ إنَّ الأَكْثَرينَ هُمُ الأَقَلُّونَ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلاَّ مَنْ قَالَ بالمَالِ هكَذَا وَهكَذَا وَهكَذَا عَن يَمِينِهِ وَعَن شِمَالِهِ وِمنْ خَلْفِهِ وَقَلِيلٌ مَاهُمُ ثُمَّ قَالَ لِي مَكَانَكَ لاَ تَبْرَحْ حَتَّى آتِيكَ ثُمَّ انْطَلَقَ في سَوادِ اللَّيْلِ حَتَّى تَوَارَى فَسَمِعْتُ صَوتاً قَدِ ارْتَفَع فَتَخَوَّفْتُ أنْ يَكُونَ أحَدٌ عَرَضَ لِلنَّبيِّ ﷺ فَأرَدْتُ أنْ آتِيهِ فَذَكَرتُ قَوْلَه لا تَبْرَحْ حَتَّى آتِيَكَ فَلَم أبْرَحْ حَتَّى أتَانِي فَقُلْتُ : لَقَدْ سَمِعْتُ صَوتاً تَخَوَّفْتُ مِنْهُ فَذَكَرْتُ لَهُ فَقَالَ وَهَلْ سَمِعْتَهُ ؟ قُلتُ : نَعَمْ قَالَ ذَاكَ جِبريلُ أتَانِي فَقَالَ : مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِكَ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئاً دَخَلَ الْجَنَّةَ قلت : وَإنْ زَنَى وَإنْ سَرَقَ ؟ قَالَ وَإنْ زَنَى وَإنْ سَرَقَ متفقٌ عَلَيْهِ وهذا لفظ البخاري