লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯. ক্ষুদ্র সামরিক অভিযান শেষে মূল বাহিনীতে প্রত্যাবর্তন
২৭৫২। ইয়াস ইবনু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি (সালামাহ) বলেন, ’আব্দুর রাহমান ইবনু ’উয়াইনাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উট লুণ্ঠন করলো এবং তাঁর রাখালকে মেরে ফেললো। অতঃপর সে ও তার অশ্বারোহী সাথীরা উটগুলোকে হাঁকিয়ে নিয়ে যেতে থাকলো। আমি (সালামাহ) মদীনার দিকে মুখ ফিরিয়ে (সাহায্যের জন্য) তিনবার ডাক দিলাম, হুঁশিয়ার! (ডাকাত দল এসেছে)। অতঃপর আমি তাদের পিছু ধাওয়া করে তীর ছুঁড়ে তাদেরকে আহত করতে লাগলাম। তাদের কোনো অশ্বারোহী আমার দিকে ফিরলে আমি গাছের আড়ালে লুকাতাম।
এভাবে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উটগুলোকে (উদ্ধার করে) আমার পিছনে ফেললাম। তারা বোঝা হালকা করে দ্রুত পালানোর জন্য তিরিশের অধিক বর্শা এবং তিরিশের অধিক চাদর বাহনের পিঠ থেকে ফেলে দেয়। তাদের সাহায্য করতে উয়াইনাহ এগিয়ে এসে বললো, তার (সালামাহর) মোকাবিলার জন্য কয়েকজন অগ্রসর হও।
অতঃপর আমার মোকাবিলার জন্য তাদের চার জন্য অগ্রসর হয়ে পাহাড়ে উঠলো। আমার অবস্থান যখন তাদের থেকে এতটুকু দূরে ছিলো যে, তারা আমার ডাক শুনতে পাবে, তখন আমি বললাম, তোমরা কি আমাকে চেনো? তারা বললো, তুমি কে? আমি বললাম, আমি আকওয়া’র পুত্র। সেই সত্ত্বার শপথ, যিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারাকে সম্মানিত করেছেন! তোমাদের কেউই আমাকে ধরতে চাইলে, সে কখনই আমাকে ধরতে পারবে না।
পক্ষান্তরে আমি কাউকে ধরতে পারলে তার রক্ষা নেই। এমন সময় আমি দেখতে পেলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অশ্বারোহী বাহিনী গাছপালার ভিতর দিয়ে এগিয়ে আসছে। আখরাম আল-আসাদী (রাঃ) ছিলেন তাদের সবার আগে। আখরাম আল-আসাদী (রাঃ) ’আব্দুর রাহমান ইবনু ’উয়াইনাহর দিকে অগ্রসর হলেন, সেও তাকে দেখতে পেলো। উভয়ের মধ্যে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চললো।
আখরাম (রাঃ) তার ঘোড়াকে আঘাত করে হত্যা করলেন। ’আব্দুর রাহমান (বল্লামের আঘাতে) আখরামকে শহীদ করে আখরামের ঘোড়ায় আরোহণ করলো। এবার আবূ কাতাদাহ (রাঃ) ’আব্দুর রাহমানের মোকাবিলায় এগিয়ে এলেন। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলো। সে আবূ কাতাদাহ (রাঃ)-এর ঘোড়াকে হত্যা করলো। আর আবূ কাতাদাহ (রাঃ) তাকে হত্যা করলেন। অতঃপর তিনি আখরামের ঘোড়ায় সওয়ার হলেন।
এরপর আমি (সালামাহ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসি। এ সময় তিনি যু কারাদ নামক কূপের নিকট অবস্থান করছিলেন। এখান থেকেই আমি লুটপাতের ধাওয়া করেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে পাঁচশো লোক ছিলো। তিনি আমাকে (বীরত্বের জন্য) একজন অশ্বারোহীর ভাগ দিলেন এবং পদাতিকের ভাগও দিলেন।[1]
بَابٌ فِي السَّرِيَّةِ تَرُدُّ عَلَى أَهْلِ الْعَسْكَرِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَغَارَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُيَيْنَةَ عَلَى إِبِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَتَلَ رَاعِيَهَا، فَخَرَجَ يَطْرُدُهَا هُوَ وَأُنَاسٌ مَعَهُ فِي خَيْلٍ، فَجَعَلْتُ وَجْهِي قِبَلَ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ نَادَيْتُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ يَا صَبَاحَاهُ، ثُمَّ اتَّبَعْتُ الْقَوْمَ فَجَعَلْتُ أَرْمِي، وَأَعْقِرُهُمْ، فَإِذَا رَجَعَ إِلَيَّ فَارِسٌ جَلَسْتُ فِي أَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى مَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا مِنْ ظَهْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا جَعَلْتُهُ وَرَاءَ ظَهْرِي، وَحَتَّى أَلْقَوْا أَكْثَرَ مِنْ ثَلَاثِينَ رُمْحًا وَثَلَاثِينَ بُرْدَةً يَسْتَخِفُّونَ مِنْهَا، ثُمَّ أَتَاهُمْ عُيَيْنَةُ مَدَدًا، فَقَالَ: لِيَقُمْ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنْكُمْ، فَقَامَ إِلَيَّ أَرْبَعَةٌ مِنْهُمْ فَصَعِدُوا الْجَبَلَ، فَلَمَّا أَسْمَعْتُهُمْ قُلْتُ: أَتَعْرِفُونِي؟ قَالُوا: وَمَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَا ابْنُ الْأَكْوَعِ وَالَّذِي كَرَّمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَطْلُبُنِي رَجُلٌ مِنْكُمْ فَيُدْرِكُنِي، وَلَا أَطْلُبُهُ فَيَفُوتُنِي، فَمَا بَرِحْتُ حَتَّى نَظَرْتُ إِلَى فَوَارِسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَخَلَّلُونَ الشَّجَرَ: أَوَّلُهُمُ الْأَخْرَمُ الْأَسَدِيُّ، فَيَلْحَقُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَيَعْطِفُ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ الْأَخْرَمُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، وَطَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَقَتَلَهُ فَتَحَوَّلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ فَيَلْحَقُ أَبُو قَتَادَةَ، بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ بِأَبِي قَتَادَةَ، وَقَتَلَهُ أَبُو قَتَادَةَ، فَتَحَوَّلَ أَبُو قَتَادَةَ، عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ، ثُمَّ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي جَلَّيْتُهُمْ عَنْهُ ذُو قَرَدٍ، فَإِذَا نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَمْسِ مِائَةٍ فَأَعْطَانِي سَهْمَ الْفَارِسِ وَالرَّاجِلِ حسن صحيح
Salamah (bin Al ‘Akwa) said “Abd Al rahman bin ‘Uyainah raided the Camels of the Apostle of Allaah(ﷺ) and killed their herdsman. He and some people who were with him on horses proceeded on driving them away. I turned my face towards Madeenah and shouted three times. A morning raid, I then went after the people shooting arrows at them and hamstringing them (their beasts). When a horseman returned to me, I sat in the foot of a tree till there was no riding beast of the Prophet (ﷺ) created by Allaah which I had not kept behind my back. They threw away more than thirty lance and thirty cloaks to lighten themselves. Then ‘Uyainah came to them with reinforcement and said “A few of you should go to him. Four of them stood and came to me. They ascended a mountain. Then they came near me till they could hear my voice. I told them “Do you know me?” They said “Who are you? I replied “I am Ibn Al ‘Akwa. By Him Who honored the face of Muhammad (ﷺ) if any man of you pursues he cannot catch me and if I pursue him, I will not miss him. This went on with me till I saw the horsemen of the Apostle of Allaah(ﷺ) coming through the trees. Al Akhram Al Asadi was at their head. He then joined ‘Abd Al Rahman bin ‘Uyainah and ‘Abd Al Rahman turned over him. They attacked each other with lances. Al Akhram hamstrung ‘Abd Al Rahman’s horse and ‘Abd Al Rahman pierced a lance in his body and killed him. ‘Abd al Rahman then returned on the horse of Al Akhram. I then came to the Apostle of Allaah(ﷺ) who was present at the same water from where I drove them away and which is known as Dhu Qarad. The Prophet (ﷺ) was among five hundred people. He then gave me two portions a horseman’s and a footman’s.