লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১২/১৪. নিকটাত্মীয়, পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর খরচ করা ও সদাকাহ করার মর্যাদা যদিও তারা মুশরিক হয়।
৫৮৪. ’আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাযি.)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযি.) হতে বর্ণিত; [রাবী আ’মাশ (রহ.) বলেন,] আমি ইবরাহীম (রহ.)-এর সাথে এ হাদীসের আলোচনা করলে তিনি আবূ ’উবায়দাহ সূত্রে ’আমর ইবনু হারিস (রাযি.)-এর মাধ্যমে ’আবদুল্লাহ (রাযি.)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযি.) হতে হুবহু বর্ণনা করেন। তিনি [যায়নাব (রাযি.)] বলেন, আমি মসজিদে ছিলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম তিনি বলছেনঃ তোমরা সাদাকা দাও যদিও তোমাদের অলংকার হতে হয়। যায়নাব (রাযি.) ’আবদুল্লাহ (রাযি.) ও তাঁর পোষ্য ইয়াতীমের প্রতি খরচ করতেন। তখন তিনি ’আবদুল্লাহকে বললেন, তুমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জেনে এসো যে, তোমার প্রতি এবং আমার পোষ্য ইয়াতীমদের প্রতি খরচ করলে আমার পক্ষ হতে সাদাকা আদায় হবে কি? তিনি [ইবনু মাস’ঊদ (রাযি.)] বললেন, বরং তুমিই আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জেনে এসো।
এরপর আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম। তাঁর দরজায় আরো একজন আনসারী মহিলাকে দেখলাম, তার প্রয়োজনও আমার প্রয়োজনের অনুরূপ। তখন বিলাল (রাযি.)-কে আমাদের পাশ দিয়ে যেতে দেখে বললাম, আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিজ্ঞেস করুন, স্বামী ও আপন (পোষ্য) ইয়াতীমের প্রতি সাদাকা করলে কি আমার পক্ষ হতে তা যথেষ্ট হবে? এবং এ কথাও বলেছিলাম যে, আমাদের কথা জানাবেন না। তিনি প্রবেশ করে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারা কে? বিলাল (রাযি.) বললেন, যায়নাব। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ যায়নাব? তিনি উত্তর দিলেন, ’আবদুল্লাহর স্ত্রী। নবী সল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তার জন্য দু’টি সওয়াব রয়েছে, আত্মীয়কে দেয়ার সওয়াব আর সাদাকা দেয়ার সওয়াব।
فضل النفقة والصدقة على الأقربين والزوج والأولاد والوالدين ولو كانوا مشركين
حَدِيْثُ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَتْ كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ وَكَانَتْ زَيْنَبُ تُنْفِقُ عَلَى عَبْدِ اللهِ وَأَيْتَامٍ فِي حَجْرِهَا قَالَ فَقَالَتْ لِعَبْدِ اللهِ سَلْ رَسُولَ اللهِ ﷺ أَيَجْزِي عَنِّي أَنْ أُنْفِقَ عَلَيْكَ وَعَلَى أَيْتَامٍ فِي حَجْرِي مِنْ الصَّدَقَةِ فَقَالَ سَلِي أَنْتِ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَوَجَدْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ عَلَى الْبَابِ حَاجَتُهَا مِثْلُ حَاجَتِي فَمَرَّ عَلَيْنَا بِلَالٌ فَقُلْنَا سَلْ النَّبِيَّ ﷺ أَيَجْزِي عَنِّي أَنْ أُنْفِقَ عَلَى زَوْجِي وَأَيْتَامٍ لِي فِي حَجْرِي وَقُلْنَا لاَ تُخْبِرْ بِنَا فَدَخَلَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ مَنْ هُمَا قَالَ زَيْنَبُ قَالَ أَيُّ الزَّيَانِبِ قَالَ امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ قَالَ نَعَمْ لَهَا أَجْرَانِ أَجْرُ الْقَرَابَةِ وَأَجْرُ الصَّدَقَةِ