[1] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ মোজার উপর মাসাহ্ করা, হাঃ ৯৭) ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ মোজার উপরিভাগ ও নিম্নভাগ মাসাহ্ করা, হাঃ ৫৫০) ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম সূত্রে। হাদীসের সানাদ দুর্বল। এতে চারটি দোষ আছেঃ একঃ সাওর ইবনু ইয়াযীদ হাদীসটি রাজাআ ইবনু হাইওয়াতাহ থেকে শুনেননি বরং তিনি বলেন, তিনি আমাদের নিকট জাবির সূত্রে বর্ণনা করেছেন। দুইঃ এটি মুরসাল বর্ণনা। ইমাম তিরমিযী বলেন, আমি এ হাদীস সম্পর্কে ইমাম আবূ যুর‘আহ ও ইমাম বুখারীকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন, হাদীসটি সহীহ নয়। কেননা ইবনুল মুবারাক সাওরী সূত্রে, তিনি রাজাআ সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। রাজাআ বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে বর্ণনা করেছি। তিনঃ ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম হাদীসটি যে সাওর ইবনু ইয়াযীদ থেকে শুনেছেন তা স্পষ্ট করেননি। বরং তিনি বলেন সাওর থেকে। আর ওয়ালীদ একজন মুদাল্লিস। তাই তার আন্ আন্ শব্দ যোগে বর্ণনা দ্বারা দলীল দেয়া যাবে না এবং তার শ্রবণের বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। চারঃ সনদে মুগীরাহ লিখকের (কাতিবের) নাম উল্লেখ নেই। অতএব তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তি। আবূ মুহাম্মাদ ইবনু হাকাম এসব দোষের কথা উল্লেখ করেছেন। (দেখুন ‘মুখতাসার সুনান’ ১/১২৩-১২৪)। মিশকাতের তাহক্বীক্বে শায়খ আলবানী বলেনঃ এর দোষ হচ্ছে সনদে ইনকিতা বা বিচ্ছিন্নতা। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি দোষমুক্ত। আমি ইমাম আবূ যুর‘আহ ও ইমাম বুখারীকে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলেন, এটি সহীহ নয়। ইমাম আবূ দাঊদও এটিকে দুর্বল বলেছেন।