লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৫০-[২৩] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক মদীনায় মৃত্যবরণ করতে (সমর্থ হয়) পারে, সে যেন সেখানেই মৃত্যুবরণ করে; কেননা যে লোক মদীনায় মৃত্যুবরণ করবে আমি তার জন্যে (পরিপূর্ণরূপে) সুপারিশ করবো। (আহমাদ, তিরমিযী; তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ, তবে সানাদ হিসেবে গরীব)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَمُوت بالمدية فليمت لَهَا فَإِنِّي أَشْفَعُ لِمَنْ يَمُوتُ بِهَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيح غَرِيب إِسْنَادًا
ব্যাখ্যা: মদীনায় দীর্ঘদিন অবস্থান করা বা স্থায়ীভাবে বসবাস করা যাতে সেখানেই মৃত্যু হয়। এটা মদীনার ওপর ভালবাসার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ‘‘আমি তার সুপারিশকারী হব’’। ইবনু মাজাহ্’র এক বর্ণনায় ‘‘আমি তার জন্য সাক্ষ্য হব’’, শব্দ এসেছে, এটা ঐ ব্যক্তির জন্য যে মদীনায় ইন্তিকাল করবেন।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এখানে মৃত্যুর জন্য হুকুম বা নির্দেশ করেছেন, অথচ সেটা কারো ক্ষমতা বা আয়ত্বের মধ্যে নয় বরং তা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর আয়ত্বে ও ক্ষমতায়। এ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় হুকুম দ্বারা এখানে মৃত্যু গ্রহণ নয় বরং মদীনাকে আমৃত্যু গ্রহণ ও বরণ করে নিয়ে সেখানে বসবাস করা এবং কখনো মদীনাহ্ ত্যাগ না করা যাতে মদীনায়ই তার নিশ্চিত মৃত্যু হয়।
এটা আল্লাহ তা‘আলার ঐ কথার ন্যায় যাতে তিনি বলেছেনঃ ‘‘তোমরা মুসলিম না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করো না।’’ (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ৯৭)
এ হাদীসের দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় যে, মদীনায় বসবাস মক্কায় বসবাসের চেয়ে উত্তম। এজন্য আল্লাহর নাবী মক্কা বিজয়ের পরও জীবনের বাকী অংশটুকু মদীনায় কাটিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহর নাবী অপেক্ষাকৃত উত্তম বস্ত্তটিই গ্রহণ করেছেন। ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী আল কারী (রহঃ) বলেন, মদীনাহ্ মক্কার চেয়ে উত্তম মুত্বলাক্বভাবে, এ হাদীস তার সরীহ বা স্পষ্ট দলীল নয়। কেননা কখনো অপেক্ষাকৃত অনুত্তমের মধ্যেও এমন বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য থাকে যার কারণে সে উত্তমের উপর শ্রেষ্ঠত্ব রাখে।