লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মুহরিম ব্যক্তির শিকার করা হতে বিরত থাকবে
২৭০৬-[১১] ’আবদুর রহমান ইবনু ’উসমান আত্ তায়মী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা (আমার চাচা) তলহা ইবনু ’উবায়দুল্লাহ-এর সাথে ছিলাম। আমরা সকলেই ইহরাম অবস্থায় ছিলাম। এ সময় তাঁকে পাখী হাদিয়্যাহ্ দেয়া হল। তখন তিনি (তলহা) ঘুমে ছিলেন। আমাদের কেউ কেউ তার মাংস (গোসত/মাংস) খেলেন, আবার কেউ কেউ খাওয়া থেকে বিরত থাকলেন। তলহা ঘুম থেকে যখন জেগে উঠলেন তখন যারা মাংস (গোসত/মাংস) খেলেন তাদের সমর্থন দিলেন এবং বললেন, আমরা এটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে খেয়েছি। (মুসলিম)[1]
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ التَّيْمِيِّ قَالَ: كنَّا مَعَ طَلحةَ بنِ عُبيدِ اللَّهِ وَنَحْنُ حُرُمٌ فَأُهْدِيَ لَهُ طَيْرٌ وَطَلْحَةُ رَاقِدٌ فَمِنَّا مَنْ أَكَلَ وَمِنَّا مَنْ تَوَرَّعَ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ طَلْحَةُ وَافَقَ مَنْ أَكَلَهُ قَالَ: فَأَكَلْنَاهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (وَافَقَ مَنْ أَكَلَه) ‘‘যারা তা খেয়েছিল তিনি (ত্বলহা) তাদের সমর্থন করলেন’’। অর্থাৎ- যে মুহরিম ব্যক্তি ঐ শিকারকৃত পাখীর গোশত (গোসত/গোশত) খেয়েছিল। তিনি কথা অথবা কাজের মাধ্যমে তাদের উক্ত কাজকে সমর্থন করলেন।
(فَأَكَلْنَاهُ مَعَ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ) ‘‘আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তা খেয়েছি।’’ অর্থাৎ- নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমরা এরূপ পাখীর গোশ্ত (গোসত/গোশত) হাদিয়্যাহ্ দেয়া হলে তা আমরা খেয়েছি।
যারা বলেন শিকারী ব্যক্তি মুহরিমের জন্য শিকার করুক বা নিজের জন্যই শিকার করুক মুহরিমকে তা থেকে হাদিয়্যাহ্ দিলে তিনি তা খেতে পারবেন- এ হাদীসটি তাদের দলীল। তবে তিন ইমামের (মালিক, শাফি‘ঈ ও আহমাদ) মতে যে ব্যক্তি নিজের জন্য পাখী শিকার করার পর তা থেকে মুহরিমকে হাদিয়্যাহ্ স্বরূপ দান করলে তা মুহরিমের জন্য খাওয়া বৈধ।
ইমাম শাওকানী বলেন, অবশ্যই এ হাদীসের অর্থ হবে যাকে হাদিয়্যাহ্ দেয়া হলো শিকারী ব্যক্তি সেটা তার জন্য শিকার করেননি বরং নিজের জন্য শিকার করার পর তা থেকে মুহরিমকে হাদিয়্যাহ্ দিয়েছিল। যাতে দু’ ধরনের হাদীসের সমন্বয় ঘটে।