লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মক্কায় প্রবেশ করা ও তাওয়াফ প্রসঙ্গে
২৫৮৯-[২৯] ’আবিস ইবনু রবী’আহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’উমার (রাঃ)-কে হাজারে আসওয়াদ চুমু দিতে দেখেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছি- আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র, যা কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারো না। আমি যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুমু দিতে না দেখতাম তবে আমি কক্ষনো তোমাকে চুমু দিতাম না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
وَعَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: رَأَيْت عمر يقبل الْحجر وَيَقُول: وَإِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ مَا تَنْفَعُ وَلَا تَضُرُّ وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقبل مَا قبلتك
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে ‘উমার (রাঃ)-এর উক্তি, ‘‘আমি অধিক জানি যে, তুমি একটি পাথর। উপকার করতে পারো না এবং ক্ষতিও করতে পারো না। যদি আমি না দেখতাম যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুম্বন করেছেন, তবে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।’’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য কি?
এ প্রসঙ্গে ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ ‘উমার (রাঃ) এজন্য বলেছেন যে, যেন ইসলামে নবদিক্ষিত কিছু মুসলিমরা বিভ্রান্ত না হয় যারা পাথর পূজা, তার সম্মান করা, তার পরকালের আশা করা এবং তার সম্মানের ত্রুটির কারণে ক্ষতি হয়- এ আশঙ্কার সাথে সুপরিচিত। তিনি আশংকা করলেন যে, তাদের কেউ তাকে চুম্বন করতে দেখে ফিতনায় পড়বে। ফলে তিনি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করলেন যে, এই পাথর কোন উপকার করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। এটা কেবল বিধান পালন করে প্রতিদানের আশায় করা হয়।
এ হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে পাথর চুম্বন করার মাধ্যমে। যদি অনুসরণ করা উদ্দেশ্য না হত, তবে চুম্বন করতেন না।
সারকথা হচ্ছে, আমরা যা করব, বলব এবং বিশ্বাস করব তা হবে সহীহ সুন্নাহভিত্তিক। আর আমরা বিদ্‘আতী কাজ, ‘আক্বীদাহ্ ও ‘আমল নষ্ট হয়ে যায় এমন শৈথিল্য করা হতে সতর্ক থাকব।