লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ
২৪২৬-[১১] ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহযাব যুদ্ধের সময় মুশরিকদের জন্য বদ্দু’আ করে বলেছিলেন, ’’আল্ল-হম্মা মুনযিলাল কিতা-বি, সারী’আল হিসা-বি, আল্ল-হুম্মা আহযিমিল আহযা-বা, আল্ল-হুম্মা আহযিমহুম, ওয়া যালজিলহুম’’ (অর্থাৎ- হে কিতাব নাযিলকারী ও তড়িৎ বিচার ফায়সালাকারী [হিসাব গ্রহণকারী] আল্লাহ! হে আল্লাহ! তুমি শত্রুর সম্মিলিত শক্তিকে পরাজিত করো। হে আল্লাহ! তাদেরকে তুমি পরাজিত করো এবং তাদেরকে পর্যদস্ত-বিচলিত করে দাও।)। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الدَّعْوَاتِ فِى الْأَوْقَاتِ
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ عَلَى الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ سَرِيعَ الْحِسَابِ اللَّهُمَّ اهْزِمِ الأحزابَ اللهُمَّ اهزمهم وزلزلهم»
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা আসকালানী (রহঃ) বলেনঃ উল্লেখিত দু‘আয় তিনটি নিয়ামতের মাহাত্ম্যের উপর সতর্কবাণী রয়েছে।
১. আল্লাহর কিতাব নাযিল হওয়ার মাধ্যমে পরকালীন নিয়ামত অর্জন হয়েছে। ২. মেঘ চলমানের কারণে দুনিয়াবী নিয়ামত অর্জন হয়েছে। আর তা হলোঃ জীবিকা। ৩. বহুজাতিক বাহিনী পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে দু’টি নিয়ামতের (মক্কা-মদীনাহ্) সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।
‘আল্লামা কুসতুলানী বলেনঃ উল্লেখিত দু‘আয় তাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসের দু‘আ না করে তাদের ওপর লাঞ্ছনা ও কম্পন কামনা করা হয়েছে। এর কারণ হলোঃ মদীনাহ্ তাদের আত্মার জন্য ছিল নিরাপদ। এছাড়া রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এমন আকাঙ্খাও হতে পারে যে, তারা (কাফিররা) তাওবাহ্ করতে পারে এবং ইসলামে প্রবেশ করতে পারে। আর ধ্বংসের দু‘আ করলে তাদের মৃত্যু ছিল অবধারিত। আর এটাই ছিল মুখ্য ও সঠিক উদ্দেশ্য। আর ‘আল্লামা ইসমা‘ঈলী (রহঃ)-এর অপর বর্ণনায় অন্যভাবে রয়েছে। সেখানে দু‘আতে কিছু বর্ধিত রয়েছে। অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আপনি আমাদের প্রতিপালক এবং তাদেরও প্রতিপালক, আমরা আপনার দাস এবং তারাও আপনার দাস, আমাদেরকে ও তাদেরকে করুণা করেছেন আপনার স্বহস্তে। অতএব (আজ) তাদেরকে লাঞ্ছিত করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।