২৪১৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ

২৪১৭-[২] উক্ত রাবী [’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, বিপদের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,

’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ’আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু রব্বুল ’আর্‌শিল ’আযীম; লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি, ওয়া রব্বুল আরযি রব্বুল ’আর্‌শিল কারীম’’

(অর্থাৎ- মহান ধৈর্যশীল আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই। মহান ’আরশের মালিক আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই, যিনি সমগ্র আকাশম-লীর রব, মহান ’আরশের রব।)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الدَّعْوَاتِ فِى الْأَوْقَاتِ

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ عِنْدَ الْكَرْبِ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيم»

ব্যাখ্যা: সহীহুল বুখারীর অপর বর্ণনায় রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃশ্চিন্তার সময় দু‘আ করতেন। সহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ শব্দগুলোর দ্বারা দু‘আ করতেন এবং এগুলো চিন্তার সময় বলতেন। অপর বর্ণনায় রয়েছে, যখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গুরুত্বপূর্ণ কাজের ইচ্ছা করতেন, তখন এ দু‘আ পড়তেন। ‘আল্লামা ত্ববারানী (রহঃ) বলেনঃ (কতিপয় বর্ণনায়) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কথা, (يدعوا) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু‘আ করতেন। এর অর্থ হলোঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ, সুবহা-নাল্ল-হ বলতেন, যাতে পূর্ণাঙ্গ কোন দু‘আ নয়।

এতে দু’টি বিষয় হতে পারেঃ

১. দু‘আ করার পূর্বে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল জিকিরগুলো করতেন, এরপর ইচ্ছামত দু‘আ করতেন। যেরূপ মুসনাদ আবী ‘আওয়ানাহ্ হতে বর্ণিত রয়েছে এবং হাদীসের শেষে রয়েছে যে, এরপর তিনি দু‘আ করতেন। ‘আবদ ইবনু হুমায়দীর বর্ণনায় রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজের ইচ্ছা করলে প্রাধান্যযোগ্য জিকিরগুলো করতেন। এরপর দু‘আ করতেন।

২. যে বিষয়ের উত্তর ইবনু ‘উআয়নাহ্  দিয়েছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আরাফায় অধিক যে দু‘আ পড়তেন তা হলোঃ ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ’’। ‘আল্লামা সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেনঃ এটা জিকির, এতে কোন দু‘আ নেই। কিন্তু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার প্রার্থনার ব্যস্ততা থেকে আমার যিকিরের জন্য যা দেয়া হয় তা প্রার্থনাকারীদের যা দেয়া হয় তার চেয়ে উত্তম।

হাফেয আসকালানী (রহঃ) বলেনঃ ছয়টি অগ্রগণ্য। কেননা সা‘দ ইবনু আবী ওয়াককাস (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে মাছওয়ালার (ইউনুস (আঃ)-এর) দু‘আর ব্যাপারে বর্ণনা রয়েছে। তিনি যখন মাছের পেটে ছিলেন তখন দু‘আ করেছিলেন- ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লা -আন্‌তা সুবহা-নাকা ইন্নী কুন্‌তু মিনায্ যোয়ালিমীন’’