লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৮৭-[৭] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ফাতিমা (রাঃ) (আটার) চাক্কি পিষতে পিষতে তার হাতের কষ্ট অনুভূত হওয়ার অভিযোগ স্বরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন। তিনি [ফাতিমা (রাঃ)] জানতে পেরেছিলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যুদ্ধবন্দী গোলাম এসেছে। কিন্তু তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রসূলের দেখা না পেয়ে মা ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে এ কথা বললেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ফিরে আসলেন ’আয়িশাহ্ ফাত্বিমার কথা তাঁকে জানালেন। ’আলী (রাঃ) বলেন, অতঃপর খবর পেয়ে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন আমাদের এখানে আসলেন, তখন আমরা বিছানায় শুয়ে পড়ছিলাম। তাঁকে দেখে আমরা উঠতে চাইলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমরা নিজ নিজ জায়গায় থাকো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের কাছে এসে আমার ও ফাত্বিমার মাঝে বসে গেলেন। এমনকি আমি আমার পেটে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পায়ের শীতলতা অনুভব করলাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমরা যা আমার কাছে চেয়েছ এর (গোলামের) চেয়ে অনেক উত্তম এমন কথা আমি কি তোমাদেরকে বলে দেবো না? আর তা হলো যখন তোমরা ঘুমাবে তখন তেত্রিশবার ’সুবহা-নাল্ল-হ’, তেত্রিশবার ’আলহামদুলিল্লা-হ’ এবং চৌত্রিশবার ’আল্ল-হু আকবার’ পড়বে। এটা তোমাদের জন্য খাদিম (গোলাম) হতে অনেক উত্তম হবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ مَا يَقُوْلُ عِنْدَ الصَّبَاحِ وَالْمَسَاءِ وَالْمَنَامِ
وَعَن عَليّ: أَن فَاطِمَة أَنْت النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَشْكُو إِلَيْهِ مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى وَبَلَغَهَا أَنَّهُ جَاءَهُ رَقِيقٌ فَلَمْ تُصَادِفْهُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ قَالَ: فَجَاءَنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا نَقُومُ فَقَالَ: عَلَى مَكَانِكُمَا فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمِهِ عَلَى بَطْنِي فَقَالَ: «أَلَا أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا؟ إِذَا أَخَذْتُمَا مَضْجَعَكُمَا فَسَبِّحَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَاحْمَدَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَكَبِّرَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَهُوَ خير لَكمَا من خَادِم»
ব্যাখ্যা: অপর বর্ণনায় ‘আল্লামা ‘আবদুর রহমান মুবারকপূরী (রহঃ) বলেনঃ অপর বর্ণনায় আত্ তাকবীর ‘‘আল্ল-হু আকবার’’ ৩৩ বার উল্লেখ রয়েছে, আবার অপর বর্ণনায় ‘‘সুবহা-নাল্ল-হ’’ ৩৪ বার রয়েছে। আবার অন্য বর্ণনায় ‘‘আলহামদু লিল্লা-হ’’ ৩৪ বার রয়েছে। তবে অধিকাংশ বর্ণনার ঐকমত্যে ‘‘আল্ল-হু আকবার’’ ৩৪ বার বলাই অগ্রগণ্য।
‘আল্লামা ইবনুল বাত্ত্বাল (রহঃ) বলেনঃ ঘুমের সময় এ ধরনের জিকির করা বা সম্ভব মতো উল্লেখিত সমস্ত জিকির করা তাঁর উম্মাতের জন্য যথেষ্ট হবে, আর এ মর্মে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর এর অর্থ হলো এটি মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়।
‘আল্লামা ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ অবস্থা ও সময়ভেদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিভিন্ন জিকির বর্ণিত হয়েছে। আর এ প্রতিটি তাসবীহ বা জিকির উল্লেখিত সময়ে পড়লেই হবে।
আলোচ্য হাদীস থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, তরকারী পাকানো, রুটি বানানো বা বাড়ীর কাজে সক্ষম মহিলার বাবার বাড়ীতে থাকা অবস্থায় যদি তার খাদেম না থাকে তবে স্বামীর উপর তার জন্য খাদেম নিয়োগ দেয়া আবশ্যক নয়। কেননা ফাতিমা (রাঃ) খাদিম চাওয়ার পরও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মর্মে ‘আলী (রাঃ) তার খিদমাত করার কোন খাদিম নিয়োগের নির্দেশ দেননি।