লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৮২-[২] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুমানোর সময় গালের নীচে হাত রাখতেন আর বলতেন, ’’আল্ল-হুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া-’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মৃত্যুবরণ করি ও তোমার নামেই জীবিত হই)। আবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘুম থেকে জেগে বলতেন, ’’আলহাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা’দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলায়হিন্ নুশূর’’ (অর্থাৎ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার, যিনি আমাদেরকে মৃত্যুর পর আবার জীবিত করলেন এবং তারই দিকে আমাদেরকে প্রত্যাবর্তন)। (বুখারী)[1]
بَابُ مَا يَقُوْلُ عِنْدَ الصَّبَاحِ وَالْمَسَاءِ وَالْمَنَامِ
وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ خَدِّهِ ثُمَّ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا» . وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ: «الْحَمْدُ الله الَّذِي أَحْيَانًا بَعْدَمَا مَا أماتنا وَإِلَيْهِ النشور» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেনঃ উল্লেখিত দু‘আয় (...أَحْيَانًا) অর্থাৎ- ‘‘মৃত্যুর পর জীবিত করলেন’’ এটি মাজায, কেননা ঘুমের সময় জীবন আলাদা হয় না। কিন্তু ঘুমের সময় নড়াচড়া বন্ধ ও শক্তি দূরীভূত হয়, যা মৃত্যুরই নামান্তর। অতঃপর তিনি বলেনঃ (بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا) অর্থাৎ- ঘুমের পরবর্তীতে তিনি আমাদের ওপর শক্তি ও চলাফেরার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিলে, এগুলো (নড়াচড়া ও চলাফেরার শক্তি) দূর হয়ে যাওয়ার পর। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) মুত্বলাকভাবে (সাধারণভাবে) ঘুমের উপর মৃত্যু উল্লেখ করার হিকমাত সম্পর্কে বলেন যে, নিশ্চয় মানুষের উপকৃত হওয়াটা জীবিত থাকার সাথে সম্পৃক্ত, আর তা হলো আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করা, তাঁর আনুগত্য করা, তাঁর রাগ ও শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা। সুতরাং যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন এ সকল উপকার তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং জীবনের কোন অংশই সে গ্রহণ করতে পারে না, কাজেই তা তো মৃত্যুর মতই।
অতএব নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ) অর্থাৎ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। এটা নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা, যা জীবিত থাকার উপকারগুলো দূর হওয়ার পর ফিরিয়ে পাবার কৃতজ্ঞতা।