লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯১-[৫] আবূ কাতাদাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুরআন পাঠ কেমন ছিল? তিনি বললেন, তাঁর কুরআন পাঠ ছিল টানা টানা। তারপর তিনি [আনাস (রাঃ)] ’বিস্মিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ পড়লেন। তিনি ’বিস্মিল্লা-হি’ টানলেন। ’রহমা-নির’ টানলেন এবং ’রহীম’-এ টানলেন। (বুখারী)[1]
بَابٌ [اٰدٰبُ التِّلَاوَةِ وَدُرُوْسُ الْقُرْاٰنِ]
وَعَنْ قَتَادَةَ قَالَ: سُئِلَ أَنَسٌ: كَيْفَ كَانَتْ قِرَاءَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: كَانَت مدا مَدًّا ثُمَّ قَرَأَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ يَمُدُّ بِبَسْمِ اللَّهِ وَيَمُدُّ بِالرَّحْمَنِ وَيَمُدُّ بِالرَّحِيمِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কিরাআত ছিল মাদ্দ সহকারে এবং স্পষ্ট। তিনি প্রতিটি অক্ষরের সিফাত ও হক যথাযথভাবে আদায় করে পড়তেন। علم التجويد-এ অনেক রকম মাদ্দ এর প্রকার দেখতে পাওয়া যায়। যেমন মাদ্দে তাবায়ী মাদ্দে আসলী, ফারয়ী। আবার কোনটির নাম মুত্তাসিল, মুনফাসিল ইত্যাদি। মাদ্দের পরিমাণ নিয়ে কারীদের মাঝে মতানৈক্য বিদ্যমান। মাদ্দের পরিমাণ কেউ বলেছেন, হাফ আলিফ কারো মতে দুই আলিফ। কেউ বলেছেন, তিন আলিফ। এগুলোর বিস্তারিত আলোচনা তাজবীদের কিতাবে রয়েছে। মোটকথা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি মাদ্দ যথাযথভাবে দীর্ঘ করে পড়েছেন। যেমন الله শব্দের ‘লাম’ যা ‘হা’ এর পূর্বে আছে তাকে টেনে পড়েছেন। الرحمٰن এর মিম-কে ও الرحيم এর ي-কে টান দিয়ে পড়েছেন।